বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং বিষয়ক সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ তাদের যেসব গ্রাহকের একাধিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে।
গ্রাহকদের টাকা রয়েছে বা কেউ টাকা স্থানান্তর করেছে এমন সব অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এদিন বিভিন্ন সময় অনেক অ্যাকাউন্ট থেকে গ্রাহকরা টাকা হস্তান্তর করার চেষ্টা করেও পারেননি।
পরে অনেক গ্রাহক বিকাশের সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করলে টাকা তোলা বা অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানার জন্য এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা এক সার্কুলারে বলা হয় মোবাইল ব্যাংকিংবিষয়ক একই কোম্পানিতে কোনো গ্রাহক একাধিক হিসাব রাখতে পারবে না।
একটি হিসাব সচল রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। তবে গ্রাহকরা বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানিতে হিসাব খুলতে পারবেন।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জঙ্গি অর্থায়ন, হুন্ডিসহ নানা অভিযোগ উঠলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের উচ্চপর্যায়ের পরামর্শে এ সার্কুলার জারি করে।
এর পর থেকেই মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলো যেসব গ্রাহকের একাধিক অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করতে পেরেছে সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
এর মধ্যে ডাচবাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংবিষয়ক সহযোগী প্রতিষ্ঠান রকেট গ্রাহকদের আগাম নোটিশ দিয়ে একটি রেখে বাকি হিসাব বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ক্ষেত্রে তারা গ্রাহকদের এমন সুযোগ দিয়েছে যে, গ্রাহকরা ইচ্ছে করলে যে কোনো একটি রেখে বাকিগুলো বন্ধের নোটিশ দিতে পারেন।
সে কারণে তারা গ্রাহকদের ইচ্ছে অনুযায়ী একটি হিসাব রেখে বাকি হিসাবগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
একই সঙ্গে তারা বন্ধ করা অ্যাকাউন্টে গ্রাহকদের যেসব টাকা ছিল সেগুলো সচল হিসাবে স্থানান্তর করে দিয়েছে।
গ্রাহকরা জানান, বিকাশ এমনটি করেনি। কোনো নোটিশ ছাড়াই শনিবার দুপুর থেকে হঠাৎ করে হিসাব বন্ধ করে দিয়েছে।
বন্ধ হিসাবে গ্রাহকদের যে অর্থ জমা রয়েছে সেগুলো কিভাবে ফেরৎ পাওয়া যাবে সে বিষয়েও কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
যেসব হিসাব থেকে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে বা টাকা এসেছে সেগুলোর তথ্যও গ্রাহকরা পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, বিকাশে তার দুটি মোবাইল ফোন নাম্বারের বিপরীতে দুটি অ্যাকাউন্ট ছিল।
এর মধ্যে একটি হিসাব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যেটি বন্ধ করা হয়েছে সেটিই তিনি রাখতে চান।
আর যেটি চালু আছে সেটি বন্ধ করতে চান। তার অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য জানতে পারছেন না।
একজন ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, তারও দুটি হিসাবের মধ্যে একটি হিসাব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রাতে বিকাশের সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি। আজ এ বিষয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তারা।
এর আগে বিকাশ আরও অনেক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে এর মধ্যে কিছু হিসাব আবার চালু করেছে। একই সঙ্গে অনেক এজেন্টও তারা বাতিল করেছে।