কোরবানির হাটের খাজনা ৫% হতে পারে

এবছর কোরবানির পশু কেনা-বেচার জন্য রাজধানী ঢাকায় ২২টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় নয়টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় বসছে ১৩টি অস্থায়ী পশুর হাট।

আর এইসব হাটে পশু বেচা-কেনায় এবারও ৫ শতাংশ হারে খাজনা ধার্য হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইজারাদারেরা।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার বসিলা কোরবানির হাটের ইজারাদার মুরাদ হোসেন জানান, হাট ব্যবস্থাপনার সব আয়োজনই তারা সম্পন্ন করেছেন। যথা সময়েই হাটে পশু বেচা-কেনা শুরু হবে।

শনিবার ১৯ আগস্ট দুপুরে বসিলার অস্থায়ী কোরবানির হাটে গিয়ে দেখা গেছে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে।পশু বাঁধতে সার বেঁধে পোঁতা হয়েছে কয়েক হাজার বাঁশের খুঁটি। হাটের একাংশের দুই পাশে তৈরি করা হয়েছে উঁচু উঁচু দুইটি ওয়াচ টাওয়ার।

মুরাদ হোসেন জানান, হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক শক্ত রাখা হচ্ছে। হাটের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। দুইটি ওয়াচ টাওয়ার করা হচ্ছে। সেখান থেকে পুরো হাটে নজর রাখা হবে। কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরাও লাগানো হবে হাটের বিভিন্ন স্থানে।এবার বসিলা কোরবানি হাটে ১৫ হাজার পশু বেচা-কেনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

বসিলার মতো অন্য ২১টি অস্থায়ী পশুর হাটের প্রস্তুতি শেষের দিকে। ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, সবগুলো হাটই দরপত্রের মাধ্যে ইজারাদারদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, বেশির ভাগ এলাকার হাটের প্রস্তুতি শেষের দিকে। যথা সময়েই হাট বসবে।

হাটের খাজনার বিষয়ে এই কর্মকর্তা জানান, সাড়ে তিন শতাংশ হারে সাধারণত খাজনা নির্ধারণ থাকে। তবে কখনও কখনও সেটা ৫ শতাংশ পর্যন্ত আদায় করা হয়।

তবে এবার কত হতে পারে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানেন না বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, এ বছর তারা মোট নয়টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে আছে- কুড়িল, বসিলা, মিরপুর ডিওএইচএস, উত্তরার ১৫নং সেক্টর, খিলক্ষেত বনরূপা, আশিয়ান সিটি, ভাটারার সাঈদনগর, আফতাব নগর ও মিরপুরের ৬নং সেকশন।

এদিকে ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণে মোট ১৩টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের অনুমতি দিয়েছে। এগুলো হলো মেরাদিয়া বাজার, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার সংলগ্ন মৈত্রী সংঘের মাঠ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন সংলগ্ন বালুর মাঠ, কমলাপুর স্টেডিয়ামের আশপাশের খালি জায়গা, জিগাতলা হাজারীবাগ মাঠ, রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ, কামরাঙ্গীরচর ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়ির মোড় থেকে দক্ষিণ দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধসংলগ্ন জায়গা, আরমানিটোলা খেলার মাঠ ও আশপাশের খালি জায়গা, ধূপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব মাঠ, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা, শ্যামপুর বালুর মাঠ এবং সাদেক হোসেন খোকা মাঠ সংলগ্ন ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল ও সংলগ্ন খালি জায়গা।

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, গত বছর রাজধানীতে পশু কোরবানির সংখ্যা ছিল প্রায় তিন লাখ ৬১ হাজার ৪১০টি। আগের বছর যা ছিল তিন লাখ ৪১ হাজার ৪১০টি।

আজকের বাজার: আরআর/ ১৯ আগস্ট ২০১৭