মাত্র তিন বছর বয়সী সাদা-কালো রঙের ‘বড় সাহেব’। তার প্রতিদিন প্রায় ৪০ কেজি গো-খাদ্যের প্রয়োজন হয়। নড়া-চড়া কিংবা ওঠা-বসা যেন তার সাহেবের মতো ভাবখানা। একই সঙ্গে শান্ত ও নম্র্র প্রকৃতির হওয়ায় খামারের মালিক ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় গরুটির নাম রেখেছেন ‘বড় সাহেব’।
আসন্ন কোরবানি ঈদে বিশাল দেহের গরুটি বিক্রি করতে চান বিদেশফেরত খামারি শরীফুজজ্জামান। তিনি এই ‘বড় সাহেব’র দাম চেয়েছেন ১০ লাখ টাকা।
খামারি শরীফুজ্জামানের দাবি, গরুটির ওজন প্রায় ৩৬ মণ। দেশে চলমান করোনাভাইরাসের কারণে পশু লালন-পালনেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। তাই তিনি গরুটির দাম ১০ লাখ টাকা চাইলেও আলোচনার মাধ্যমে বিক্রি করে দেবেন। কিন্তু দেশে চলমান পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ‘বড় সাহেব’কে কোরবানির ঈদে বিক্রি করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শরীফুজ্জামান অনেকটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাছাড়া বিশাল দেহের গরুটি দেখতে প্রতিদিনই উৎসুক লোকজন ভিড় করে। যদিও এ পর্যন্ত ‘বড় সাহেব’র দাম ওঠেছে সাড়ে ৬ লাখ টাকা।
জানা গেছে, খামারি শরীফুজ্জামানের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার রসুলপুর গ্রামে। মুক্তিযোদ্ধা বাবা খালেকুজ্জামানের বড় ছেলে বিদেশফেরত শরীফুজ্জামান। গত তিন বছর আগে বসতবাড়ির ভেতরে জামান এগ্রো নামে তিনটি গাভি দিয়ে খামার শুরু করেন। খামার শুরুর দেড় বছর পরে ফ্রিজিয়ান জাতের ১টি ষাঁড় বাছুরের সন্ধান পান। পরে দেড় বছর বয়সী ষাড়ঁ বাছুরটিকে দেড় লাখ টাকায় কিনে আনেন। এরপর থেকেই লালন-পালন শুরু। বর্তমানে সাদা-কালো রঙের ‘বড় সাহেব’ নামের ষাঁড় গরুটির যত্নে দুইজন সর্বদা নিয়েজিত রয়েছেন। তারা দিন-রাত এক করে ‘বড় সাহেব’কে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। তাছাড়া প্রায় দেড় বছর ধরে গরুটির পেছনে আরো দুই লাখ টাকারও অধিক খরচ করেছেন তিনি।
শরীফুজ্জামান জানান, প্রাকৃতিক নিয়মে দানাদার গো-খাদ্য এবং নেপিয়ার জাতের সবুজ কাঁচা ঘাস খাদ্য হিসেবে দিয়ে আসছেন। প্রতিদিন বিশাল দেহের অধিকারী ‘বড় সাহেব’র প্রায় ৪০ কেজি গো-খাদ্যের প্রয়োজন হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ১২শ’ টাকা। তার দাবি, ভৈরব উপজেলার মধ্যে ‘বড় সাহেব’ই একমাত্র বড় গরু।
এছাড়াও তার খামারে কালো রঙের ‘ছোট সাহেব’ নামেও আরো একটি ষাঁড় রয়েছে। তিনি ‘ছোট সাহেব’র দাম চেয়েছেন ৮ লাখ টাকা।