কোহলি, ধোনির অধিনায়কত্বের ব্যবধান কোথায়?

ধোনির আমলে বোলারদের অভিজ্ঞতা অনেক কম ছিল। অন্যদিকে, বিরাট কোহলির জমানায় অভিজ্ঞ বোলার যেমন রয়েছে, তেমন শক্তিশালী রিজার্ভ বেঞ্চও আছে। কার্যত এমন ভাষাতেই ফুটে উঠল ধোনি বনাম কোহলির জমানা! বলা ভাল, ধোনি ও কোহলির নেতৃত্বের জমানা কতটা আলাদা তা এবার প্রকাশ করলেন ইশান্ত শর্মা।

গত কয়েকবছর ধরেই ভারতীয় পেস আক্রমণের অন্যতম অস্ত্র হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন ইশান্ত। ৩১ বছরের তারকা পেসার ২০০৭ সালে রাহুল দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্বে অভিষেক ঘটান। তারপরে একে একে কুম্বলে, ধোনি, কোহলির নেতৃত্বে জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

অতীতে স্পিন আক্রমণেই প্রতিপক্ষকে মাত করার স্বপ্ন দেখতেন ভারতীয় অধিনায়করা। তবে বর্তমানে পেস আক্রমণই কোহলির ভারত একের পর এক বিপক্ষকে কুপোকাত করছে। ভারতীয় বোলিংয়ের এমন পরিবর্তন নিয়ে বলতে গিয়েই এবার কোহলি, ধোনির নেতৃত্বের যুগ তুলে ধরলেন ইশান্ত।

রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লি হায়দরাবাদকে বধ করার পরেই ইশান্ত শর্মা সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, “ধোনির সময়ে আমাদের মতো অনেকেরই অভিজ্ঞতা বেশি ছিল না। সেই কারণে বারেবারে বোলারদের পরিবর্তন করত হত। বারবার পরিবর্তন করার জন্য ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলা সম্ভব হত না ভারতের।”

নিজেদের পারফরম্যান্সের রহস্য জানাতে গিয়ে ইশান্ত আরও বলেছেন, বর্তমানে বোলারদের মধ্যে যোগাযোগ আরও ভাল। ৩১ বছরের তারকা পেসারের বক্তব্য, “বর্তমানে দলে ৩-৪ জন বোলার রয়েছে। এদের নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া অনেক বেশি। আগে ৬-৭ জন বোলারদের পুল ছিল। সেই কারণে যোগাযোগ অনেক থাকত নিজেদের মধ্যে।”

ইশান্তের যুক্তি, বিরাট কোহলির আমলে প্রথম সারির বোলারদের পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা তৈরি হওয়ায় দলের কাজে এসেছে। “বিরাট যখন ক্যাপ্টেন হয়, তখন বোলাররা রীতিমতো অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেছে। এটা দলের পারফরম্যান্সের উন্নতিতে সহায়ক হয়েছে।” এমনটা জানিয়ে দিল্লির পেসার আরও জানিয়েছেন, “এখন সারাবছর খেলতে হয়। পরিবারের থেকে ড্রেসিংরুমে বেশিক্ষণ থাকতে হয়। দলের সতীর্থদের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে হয়। নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া অনেক বেশি হওয়ায় মাঠে নেমে পারফর্ম করতে সুবিধা হয়।”

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান