ক্রসফায়ার আরও আগে শুরু হওয়া উচিত ছিল: বদি

মাদক ব্যবসায়ের জন্য দেশব্যাপী আলোচিত কক্সবাজার-৪ আসনের সাংসদ আবদুর রহমান বদি বলেছেন, ‘ক্রসফায়ার আরও আগে শুরু হওয়া উচিত ছিল। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নের জন্য চলমান অভিযানও অব্যাহত রাখতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

মঙ্গলবার (২২ মে) অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলাট্রিবিউনকে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, মাদক নির্মুলে আমাদের সবারই সহযোগিতা করা প্রয়োজন। যুব সমাজকে বাঁচাতে এটা অপরিহার্য।’

এক প্রশ্নের জবাবে বদি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। এছাড়া এখন যারা মাদকের ব্যবসা করে, তারা সবাই টিনএজার। ১৭-১৮ বছর থেকে শুরু করে ২৫-৩০ বছরের ছেলেগুলো মাদক ব্যবসায়ী হয়ে গেছে।

মাদক ব্যবসার সঙ্গে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে তিনি বলেন, আমার সম্পর্কে আমি বিস্তারিত সংসদে বলেছি, চ্যালেঞ্জ করেছি। আমি বলেছি, এখন তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। কারও কাছে যদি কোনও তথ্য থাকে, প্রশাসনের কারও কাছে যদি কোনও তথ্য থাকে, ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া, সাংবাদিক, প্লাস বাংলাদেশের প্রশাসনের যত গোপন সংস্থা আছে, কারও সঙ্গে ইয়াবা সংক্রান্তে কথা বলেছি, সে রকম কোনও তথ্য থাকলে প্রমাণ করুন।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের যে লোকগুলো ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে, সেখানে তাদের কোনও নাম নেই। আমি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণেই আজ আমার এই অবস্থা। আমার ভাইদের বিরুদ্ধেও কোনও অভিযোগ নেই। ইয়াবা ব্যবসা করে ধরা পড়ে শামসুন্নাহার জ্যোতি। নাম হয় আমার বোন শামসুন্নাহারের। আমার বোন তো একজন ওসির ওয়াইফ। শামসুন্নাহার জ্যোতি নামের একটি মেয়ে ইয়াবা ব্যবসা করে ধরা খেয়ে কারাগারে গেছে। কারাগার থেকে বের হয়েছে। আবার ব্যবসা করছে। সেখানে বলা হচ্ছে, আমার বোন শামসুন্নাহারের কথা। এখন কী বলবেন? এই একটি ঘটনা তদন্ত করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমার ভাইদেরও কোনও নাম নেই। অথচ আমার ভাইদের নামগুলো বলা হয়। যারা প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী, তারা তো কোটি কোটি টাকার মালিক। তারা টাকা-পয়সা খরচ করে সব ম্যানেজ করে ফেলে। সমস্যা হচ্ছে এখানে। যেমন, একজন করিম ইয়াবা ব্যবসা করে, কিন্তু টাকা দিয়ে আরেক করিমকে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এগুলো আয়নার মতো পরিষ্কার। যারা ইয়াবা ব্যবসায়ী, তাদের ঘর-বাড়ি দেখলেই বোঝা যায়। যারা রিকশা চালাতো, পানের দোকানে চাকরি করতো, তারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। পাজেরো গাড়ি চালাচ্ছে।

গত কয়েকদিন ধরে মাদকবিরোধী অভিযানে দেশের বিভিন্ন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের একাধিক খবর গণমাধ্যমে এসেছে। তবে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ থাকার পরও এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা কেন নেওয়া হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মঙ্গলবার (২২ মে) সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন ‘সংসদ সদস্য বদির বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। আমরা সেই অভিযোগগুলো সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তথ্য-প্রমাণ নাই।’

রাসেল/