ভ্লাদিস্লাভ রসলিকভ, ১৮ বছর বয়সী কলেজ শিক্ষার্থী। বুধবার ক্রিমিয়ায় নিজ কারিগরি কলেজে নির্বিচারে গুলি করে ১৯ জনকে হত্যা করেছেন। নিজে আত্মহত্যার আগে আহত করেছেন অর্ধশতাধিক।
এর আগে রাশিয়া জানিয়েছিল, ওই শিক্ষার্থীর গুলিতে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। তবে ক্রিমিয়া কর্তৃপক্ষ বলছে, হামলায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন (হামলাকারী ছাড়া)। আহত হয়েছেন ৫৩ জন, যার মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
বন্দর নগরী কার্চের এ ঘটনাকে প্রথমে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে মনে করেছিল রাশিয়া।
রাশিয়ার মিডিয়াতে নিরাপত্তা ক্যামেরা থেকে সরবরাহ করা এক ছবিতে দেখা যায়, হুডি পরে কলেজে ঢুকছেন ভ্লাদিস্লাভ রসলিকভ। লাজুক প্রকৃতির ছেলে হিসেবে পরিচিত ভ্লাদিস্লাভ কেন এ হামলা চালিয়েছে বিষয়টি পরিষ্কার নয়।
ক্রিমিয়ার আঞ্চলিক নেতা সের্গেই আকসিনভ বলেন, ‘সে হেঁটে যাচ্ছিল এবং ঠান্ডা মাথায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছুড়ছিল।’
কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ভ্লাদিস্লাভ। তার মা একজন নার্স, যিনি স্থানীয় হাসপাতালে হামলায় আহতদের সেবা করছেন। তিনি জানেন না যে তার ছেলে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে এবং মারা গেছেন। কলেজের একটি লাইব্রেরিতে বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করেন ওই ছাত্র।
জরুরি কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে এটাকে গ্যাস বিস্ফোরণ বলে জানিয়েছিল। পরে বলেছিল, কলেজের ক্যান্টিনে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের কারণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বন্দুকধারীর গুলিতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তথ্য-ইউএনবি।
আজকের বাজার/এমএইচ