উন্নত বিশ্বের পুঁজিবাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। এই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও দুই স্টক এক্সচেঞ্জ।
আর উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে শুধু ইক্যুইটি নির্ভর বাজার দিয়ে সম্ভব না। এমন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ইতোমধ্যে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড স্যাটলমেন্ট কোম্পানি গঠন ও পরিচালনার জন্য চূড়ান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে বিএসইসি। আর এই কোম্পানিটি গঠন করার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ (সিডিবিএল)। ওই বৈঠকে প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
বৈঠকের বিষয়ে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, একটি বিশ্বমানের পুঁজিবাজার গঠন করার উদ্দেশ্যে বিএসইসি ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কোম্পানি গঠন সংক্রান্ত আইন করেছে। কীভাবে এই কোম্পানির পরবর্তী কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হবে।
আইন অনুযায়ী কোম্পানিটির ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করবে। দুই স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার থাকবে ৬৫ শতাংশ। তবে একটি স্টক এক্সচেঞ্জ এককভাবে সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে পারবে। বাকী শেয়ারের মধ্যে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ (সিডিবিএল) ১০ শতাংশ, কৌশলগত বিনিয়োগকারীরা নিবেন ১০ শতাংশ। তবে কৌশলগত বিনিয়োগকারী না পাওয়া পর্যন্ত এই শেয়ারগুলো সিডিবিএলের কাছে থাকবে। কৌশলগত বিনিয়োগকারী পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেসভ্যালুতে ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর শেয়ারগুলো হস্তান্ত করবে সিডিবিএল। আর সব ব্যাংক মিলে বাকী ১০ শেয়ারের মালিক হবে। তবে একটি ব্যাংক এককভাবে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে পারবেন।
অন্যদিকে এই কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থাকবে ১১ জন। এদের মধ্যে ৬ জন থাকবে স্বতন্ত্র পরিচালক। বাকী পরিচালকদের মধ্যে প্রতি স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে থাকবে এক জন করে সদস্য। বাকী শেয়ারের মালিকদের মধ্য থেকে ২ জন পরিচালক মনোনীত করা হবে। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদাধিকার বলে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে থাকবেন।
আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ০৯ জুলাই ২০১৭