ক্ষতিগ্রস্তদের চাকরি দেয়নি বন্দর কর্তৃপক্ষ

চট্টগ্রাম বন্দরের ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ২০ জন প্রার্থী বন্দরের লস্কর পদে আবেদন করলেও কারো চাকরি হয়নি বলে দাবি করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয় অধিবাসীদের অধিকার আদায় পরিষদ নেতৃবৃন্দ।

আবেদনকারীদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী কোটার প্রার্থীও ছিল বলে বুধবার ২২ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পরিষদের সভপতি নূর মোহাম্মদ খান। ক্ষতিগ্রস্তদের চাকরি দেয়া না হলে বন্দর ভবন ঘেরাও, সমাবেশ ও হরতালের মতো কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রী, সাংসদসহ প্রভাবশালীদের করা সুপারিশে কতজনের নিয়োগ হয়েছে তা প্রকাশের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বন্দর সম্প্রসারণের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা নিঃস্ব হয়েছে। অন্যদিকে এসব এলাকায় ফ্ল্যাট বাড়ি ও একাধিক ফ্ল্যাটের ক্রেতা বন্দরের এক শ্রেণির কর্মকর্তা। এত টাকা তারা কোথায় পেল তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’

বন্দরে নিয়োগ কমিটিতে থাকা কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসেব খুঁজে বের করার দাবিও জানান তিনি।

লস্কর পদে চট্টগ্রাম থেকে ৪৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে নৌপরিবহন মন্ত্রী যে তথ্য দিচ্ছে তা সঠিক নয় দাবি করে তিনি বলেন, ‘মিথ্যা তথ্য দিয়ে মন্ত্রী ধোঁকা দিতে চাইছে। কিভাবে, কোন কোটায় কতজন নিয়োগ দিয়েছে তা স্পষ্ট করা হোক।’

স্থানীয় সংসদ সদস্য এলাকার সম্মান বজায় রাখতে পারেনি অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘নিয়োগে তার জোরালো ভূমিকা থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা চাকরি পেত। তিনি হয়তো আত্মীয়-স্বজনকে চাকরি দিয়েছেন। সামগ্রিকভাবে সংসদ সদস্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।’

বন্দরের শীর্ষ কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছে অভিযোগ করে নূর মোহাম্মদ বলেন, নিয়ম অনুযায়ী একজন বোর্ড মেম্বার তিন বছর বন্দরে থাকার কথা। কিন্তু অনেকেই তিন বছরের বেশি সময় ধরে আছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুল ইসলাম, দিদারুল হক, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ২২ নভেম্বর ২০১৭