এর আগের আদেশ অনুযায়ী সোমবার সকালে তারা আপিল বিভাগে স্বশরীরে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন জানান।
আবেদনে তারা জানান, আদালতের আদেশ অনুযায়ী গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিউটি বেগমকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যে নিয়োগ কার্যকর হবে ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট থেকে।
এর আগে আদালতের আদেশ প্রতিপালন না করায় গত ৭ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল(বর্তমানে প্রতিরক্ষা সচিব)সহ পাঁচজনকে তলব করেছিলেন আপিল বিভাগ। এ আদেশ অনুসারে গতকাল সকালে তারা আপিল বিভাগে হাজির হন।
সাবেক ডিজি ছাড়া অন্য চারজন হলেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. রমজান আলী, গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম, গাইবান্ধা সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুস সালাম ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুমুল ইসলাম। এ পাঁচজন ছাড়াও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে বিউটি বেগমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শফিক মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
পরে আলতাফ হোসেন জানান, বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি তারা নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন। এ অবস্থায় আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত অবমাননার আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন।
জানা যায়, ২০০৮ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিউটি বেগম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হন। কিন্তু তাকে নিয়োগ না দিয়ে পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারী নাজমা সুলতানাকে নিয়োগ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিউটি বেগম নিয়োগ না পেয়ে গাইবান্ধার সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলার শুনানি নিয়ে আদালত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে জেলা জজ ও হাইকোর্টেও আদেশ বহাল থাকে। এর বিরুদ্ধে আপিলের পরও আপিল বিভাগ ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট ১৫ দিনের মধ্যে বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। ওই আদেশের পরেও বিউটি বেগম নিয়োগ পায়নি। তাই তিনি আদালত অবমাননার আবেদন করেন। আদালত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ২ মার্চ আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। রুলেরও জবাব দেয়নি বিবাদীরা। এ কারণে আপিল বিভাগ বিবাদীদের তলব করেছিলেন।