ঘাসের সবুজ গালিচা বিছানো মাঠৃ সকালের আড়মোড়া ভেঙে দিন তখন দুপুরে রুপ নিচ্ছে। চিটাগং ভাইকিংসের জার্সি পরে মাঠের মধ্যে দলটির ক্রিকেটাররা। আর তাদের বেষ্টিত করে পায়তারা করছে এক ঝাঁক ক্ষুদে ক্রিকেটার।
সোমবার এমন দৃশ্যেরই অবতারণা হয়েছিল চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। চলমান বিপিএলের ঢাকা পর্বের প্রথম দফায় আর কোনো ম্যাচ নেই চিটাগং ভাইকিংসের। তাই দলটি ইতোমধ্যে পাড়ি জমিয়েছে নিজ শহর চট্টগ্রামে, যেখানে অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব। নিজ শহরের ক্ষুদে ক্রিকেটারদের নিয়ে এদিন সকাল এগারোটা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেন ভাইকিংসের ক্রিকেটাররা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হুইলচেয়ার একাডেমির ক্রিকেটাররা।
চার ঘণ্টাব্যাপী ছোটখাটো এই ক্যাম্পিংয়ে চিটাগং ভাইকিংসের ক্রিকেটাররা হুইল চেয়ার একাডেমির ক্রিকেটারদের সাথে ক্রিকেট খেলায় মেতে ওঠেন। এরপর মিসবাহ উল হক-তাসকিন আহমেদরা ব্যস্ত ছিলেন শিশুদের নিয়ে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ের দেশি-বিদেশি প্রিয় ক্রিকেটারদের কাছে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে উপস্থিত ক্ষুদে ক্রিকেটাররা। এ সময় চিটাগং ভাইকিংসের ক্রিকেটাররা ক্ষুদে ক্রিকেটারদের ক্রিকেট নিয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। শিশু-কিশোরদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ছিলেন মিসবাহ উল হক, সৌম্য সরকার ও তাসকিন আহমেদ।
মিসবাহ তাদের বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন কীভাবে ব্যাটের গ্রিপ ধরতে হয়, কিংবা ডিফেন্স করতে হয়, কিংবা খেলতে হয় একটি নিখুঁত শট। পাশে দাঁড়িয়ে সৌম্য সরকার সেগুলো বাংলায় অনুবাদ করে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন শিশুদের। তাসকিন একপাশে শিশুদের শেখাচ্ছিলেন বোলিং, দিচ্ছিলেন বোলিং সংক্রান্ত বিভিন্ন উপদেশ। সবচেয়ে বড় উপদেশ হিসেবে তাসকিন বলেন- ভালো বোলার হওয়ার আগে ভালো মানুষ হতে হবে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎ পেয়ে ক্ষুদে ক্রিকেটারদের মতো উচ্ছ্বসিত ছিলেন হুইলচেয়ার একাডেমির খেলোয়াড়রাও। জাতীয় হুইল চেয়ার ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, ‘এর আগে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। এবার তো বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গেও দেখা হলো, কথা হলো। বিভিন্ন পরামর্শ দিলেন। সারাজীবন মনে থাকবে দিনটা।’
আজকের বাজার: সালি / ২০ নভেম্বর ২০১৭