খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে বিশ্বব্যাংকের ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা মঞ্জুর

বিশ্বব্যাংক জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়া এবং কৃষি ও মৎস্য ক্ষেত্রে সেচ বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য মঙ্গলবার ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মঞ্জুর করেছে।
দি ক্লাইমেট-স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট সরকারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পয়ঃনিষ্কাষন ও সেচ (এফসিডিআই) অবকাঠামোর পূণর্বাসন ও আধুনিকায়ন করবে।
আজ বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটা বন্যায় শস্য ক্ষতিগ্রস্ত ১ লাখ ১৫ হাজার হেক্টরের বেশি এলাকায় সেচ ও পয়ঃনিষ্কাষন উন্নয়নে সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে ৬০ শতাংশ ফসল হানি হ্রাস পাবে। প্রকল্পটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ১ লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র মানুষের আয় বাড়াতে সহায়ক হবে। সুফলভোগীদের অর্ধেকই হবে নারী।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভূটান শাখার কান্ট্রি ডিরেক্টর মের্সি টেম্বন বলেন, ‘বাংলাদেশের ৭০ শতাংশের বেশি লোক জীবিকার জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদের জীবন ও জীবিকাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কৃষি পণ্যের উৎপাদন বাড়িয়ে, আয় বৃদ্ধি নিশ্চিত করে, জীবিকা সুরক্ষা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জলবায়ু পরিবর্তন সহনীয় করতে এই প্রকল্প জলবায়ু টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রণয়ন করবে।’
প্রকল্পটি দরিদ্র ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য ১৯ এফসিআই স্কীম নির্ধারণ করেছে। প্রকল্পটি ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তিসমূহ, নতুন শস্যের পরীক্ষামূলক চাষ ও ফসল তোলার পরবর্তী ব্যবস্থাপনার উপর কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেবে।
প্রকল্পটি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন, স্থানীয় বাজার উন্নয়নসহ ধান ও মাছ/চিংড়ির সমন্বিত চাষসহ উপকূলীয় অ্যাকুয়াকালচার উন্নয়নে সহায়তা দেবে। এর ফলে মাছের উৎপাদন প্রায় ৪০ শতাংশ ও ধানের উৎপাদন ৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র কৃষি বিশেষজ্ঞ আবেল লুফাফা বলেন, ‘কৃষি পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পয়ঃনিষ্কাষন ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিশ্চিত করবে।’
বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) পাঁচ বছরের রেয়াতসহ ৩৫ বছর মেয়াদে এই ঋণ সহায়তা দিচ্ছে।