নির্দেশনা থাকা সত্তেও কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির না করায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষকে শোকজ করা হয়েছে। বুধবার (২৮ মার্চ) সকাল ও বিকেলে দুই দফা শুনানি শেষে কুমিল্লার আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাজী আরাফাত উদ্দিন এ নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে আগামী ৮ এপ্রিল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আটজনকে হত্যার এই মামলায় খালেদা জিয়াকে আদালত হাজির করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিন এ মামলায় খালেদা জিয়াকে হাজির করার কথা ছিল। কিন্তু আজ তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টায় ও তিনটায় দুই দফায় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাজী আরাফাত উদ্দিনের আদালতে মামলার জামিনের বিষয় নিয়ে শুনানি হয়। এতে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো নথিপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে আদালতে কেন হাজির করা হয়নি, সে জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষকে শোকজ করা হয়েছে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এর জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়। এ ছাড়া আগামী ৮ এপ্রিল জামিনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।’
এর আগে গত ১৪ মার্চ কুমিল্লার ৫ নং আমলী আদালতের বিচারক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাকি বিল্লাহ জামিন আবেদন খারিজ এবং হাজিরা পরোয়ানা বাতিল করে আজ ২৮ মার্চ তাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের কপি ওইদিনই বিকেল সাড়ে ৩টায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে ৮ যাত্রী দগ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন আরও ২০ জন যাত্রী।
এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি করে ৫৬ জনের নাম উল্লেখ ও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় ৬ নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়। ২০১৭ সালের ৬ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইব্রাহীম।
এমআর/