খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি আজ

ফাইল ছবি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ঘোষিত রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিলের ওপর ষষ্ঠ দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

রোববার (২২ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

গত ১৮ জুলাই শুনানি শেষে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য এদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।

ওইদিন আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও আবদুর রেজাক খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

শুনানির সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, আমিনুল হক, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জয়নুল আবেদীন, আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরোদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, রাগীব রউফ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মো. ফারুক হোসেন, আনিছুর রহমান খান, আইয়ুব আলী আশরাফী, মির্জা আল মাহমুদ, সালমা সুলতানা সোমা, ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান, এহসানুর রহমান ও ফাইয়াজ জিবরান প্রমুখ।

মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পাঁচ মাসের মাথায় গত ১২ জুলাই হাইকোর্টে করা এ আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে মামলার আপিল শুনানি পাঁচদিন অতিবাহিত হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত। এরপর থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি।

ওই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মার্চ হাইকোর্ট থেকে চার মাসের জামিন পান তিনি, যা আপিল বিভাগে বহাল থাকে। ওই জামিনের মেয়াদ বাড়াতে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুলাই হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ১৯ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন, যা গত সপ্তাহে শেষ হয়। এখন জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে ২৬ জুলাই করা হয়েছে। তবে, অন্য মামলা থাকায় তিনি কারামুক্তি পাননি।

আরএম/