বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত নতুন মেডিকেল বোর্ড তার পুরনো মেডিকেল রিপোর্টগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করেছে।
রোববার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ষষ্ঠ তলায় খালেদা জিয়ার কেবিনে যান মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
তারা প্রায় ১৫ মিনিট ধরে বিএনপি নেত্রীর পুরনো মেডিকেল রিপোর্টগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করেন।
বিএসএমএমইউ’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, পুরনো মেডিকেল রিপোর্টগুলো পর্যবেক্ষণের পর খালেদা চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে বোর্ড। এখন আগের চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে।
গতকাল শনিবার বিকালে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, অধ্যাপক ডাঃ আবদুল জলিল চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের নতুন মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিএসএমএমইউতে ভর্তি এবং তার চিকিৎসায় নতুন করে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করতে সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর কারাবন্দি খালেদার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করে সরকার। বোর্ড ‘গুরুতর কোনো রোগের লক্ষণ’ না পেলেও খালেদাকে বিএসএমএমইউর মতো হাসপাতালে ভর্তি সুপারিশ করে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তখন থেকে তিনি পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন।
অসুস্থতার করাণে খালেদা জিয়াকে গত ৭ এপ্রিল বিএসএমএমইউতে নিয়ে কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।
দেশের কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।
আজকের বাজার/এমএইচ