কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দীয় শহীদ মিনারে বিশিষ্টজনদের দুই দফা মৌন অবস্থান কর্মসূচিতে বাধা দিযেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ জুন) সকালে দুই দফায় পৃথকভাবে বিশিষ্টজনেরা সেখানে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশের বাধায় তাঁরা সরে যেতে বাধ্য হন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই অবস্থান কর্মসূচিটি হওয়ার কথা ছিল। তবে এই কর্মসূচি পালনের কোন অনুমতি ছিলোনা বলে পুলিশ তাঁদেরকে সরিয়ে দেয়।
প্রথম দফা কর্মসূচিতে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে ৫০ জনের মতো বিশিষ্টজন শহীদ মিনারে সমবেত হন। তাঁরা সেখানে যাওয়া মাত্র পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।
এ সময় অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, একটি মানবিক আবেদন নিয়ে আমরা এখানে এসেছিলাম। আমরা চাই, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যেন মানবিক কারণে মুক্তি দেওয়া হয়। আমাদের সঙ্গে আনা ব্যানারে সেই কথাটিও লেখা ছিল। কিন্তু তারা (পুলিশ) ব্যানারটি খুলতেই দেয়নি। এখানে দাঁড়াতেও দেয়নি, বসতেও দেয়নি।
ওই দল চলে যাওয়ার পর বেলা ১১টার দিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশিষ্টজনদের আরেকটি দল শহীদ মিনারে এসে পৌঁছায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অধ্যাপক মেজবাহ-উল ইসলাম, হোসনে আরা, আখতার হোসেন খান, আবদুর রশীদসহ ১৫ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিক। তাঁরা শহীদ মিনারের সিঁড়িতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অবস্থান নেন।
পুলিশ এসে তাঁদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে। ওই সময় তাঁরা পুলিশের উদ্দেশে বলেন, থাকার জন্য আসিনি, চলে যাব।
এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাহবুবুর রহমান বলেন, ওনারা কী জন্য এসেছেন, জানি না। অনুমতি থাকলে বুঝতে পারতাম কী কারণে এসেছেন। আমরা খবর পাই যে এখানে কিছু লোক জড়ো হয়েছেন, অনুমতি না থাকায় তাঁদের চলে যেতে বলেছি।
আজকের বাজার/এমএইচ