খুলরা সিটি করপোরেশন,কেসিসি’র আগামী নির্বাচনে জাপা মনোনীত মেয়র প্রার্থী এস এম মুশফিকুর রহমান একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামি। দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে, তাকে পলাতক আসামি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন আদালত। ২২ বছর আগে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন্আদালত। ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল নগর জাপার সভাপতি শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলায়,চার্জশীটভুক্ত আসামি মুশফিক।
হত্যা মামলার বাদী শেখ আলমগীর হোসেন ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে, খুলনায় থানায় মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৬ সালের ৫ মে সিআইডি’র খুলনা অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার খোন্দকার মোঃ ইকবাল, ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করেন। সিআইডির দাখিলকৃত চার্জশীটে আসামিদের, প্রকাশ্যে হাজিরার জন্য আদালতে প্রার্থনা করা হয়। উল্লেখিত হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ব্যবসায়ী সৈয়দ মনিরুল ইসলাম। উল্লেখযোগ্য আসামি সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস ও সাউথ সেন্ট্রাল রোডের অধিবাসী তরিকুল হুদা টফি জামিন নিলেও অন্যান্য আসামিরা আদালতে হাজিরও হননি, জামিনও নেননি।
১৯৯৬ সালের ৯ আগস্ট আদালতের নির্দেশে পলাতক আসামি হাজী মহসিন রোডস্থ ফকিরবাড়ি লেনের অধিবাসী আতিয়ার রহমানের তিন পুত্র এস এম মুশফিকুর রহমান, ওয়াসিকুর রহমান ও মফিজুর রহমানকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের লক্ষে আদালত নির্দেশ দেন। দু’টি দৈনিক পত্রিকায় পলাতক আসামিদের, হাজির হওয়ার বিজ্ঞাপন ছাপা হয়। তারপরও হাজির না হলে পলাতক আসামিদের মালক্রোক ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর নগর জাপা সভাপতি, শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলার বিচার কার্য পুনরায় শুরু হচ্ছে। জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দু’জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে আদালতে হাজির হওয়ার সমন দিয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১১ ও ২০১৪ সালে মামলাটির বিচার কার্য স্থগিত হয়।
আদালতের বিশেষ পিপি আরিফ মাহমুদ লিটন গণমাধ্যমকে জানান, সর্বশেষ উচ্চ আদালতের কোন আদেশ না থাকায়, জন নিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল মামলার বিচার কার্য পুনরায় শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আসামিদের মধ্যে সাবেক ডেপুটি মেয়র ইকতিয়ার উদ্দিন বাবলু প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয়েছেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের ২৮ জানুয়ারী জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে মুশফিকুর রহমান। তিনি জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বনানীস্থ কার্যালয়ে যোগদান অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী হিসেবে মুশফিকুর রহমানের নাম ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৪ মার্চ জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ খুলনায় এসে মুশফিকুর রহমানকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে পরিচয়ও করিয়ে দেন।
আজকের বাজার : এলকে/এলকে ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭