গণভবনে আমন্ত্রণ পেলেন বি. চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারা

বিকল্পধারার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপের বসার ইচ্ছে জানিয়ে চিঠি দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফিরতি চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে ২ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সংলাপের জন্য সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার চেয়ারম্যান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে বদরুদ্দোজা’র বারিধারার বাসায় আওয়ামী লীগ সভাপতির বাসায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষ থেকে চিঠি পৌঁছে দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।

এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পর রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান এবং সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসার ইচ্ছা জানিয়ে চিঠি দেয় বিকল্পধারা বাংলাদেশ। চিঠি পৌঁছে দেন বিকল্পধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক এবং সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রউফ মান্নান।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে চিঠি গ্রহণ করেছেন আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।

এর আগে, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টায় বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের কাছে যুক্তফ্রন্টকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সংলাপের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।

সোমবার হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে তাদের দল সংলাপে বসবে।

ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কারো কাছে নতিস্বীকার করে না। সংলাপের জন্য কোনো পূর্বশর্তও নেই। বঙ্গবন্ধু কন্যার দরজার কারও জন্য বন্ধ থাকে না। তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

এর আগে রোববার নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচনসহ ঘোষিত ৭ দফা দাবি ও ১১টি লক্ষ্য সম্বলিত একটি চিঠি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে পৌঁছে দেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার কাছে দেয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে সংলাপের আহ্বান জানানো হয়।

গত ১৩ অক্টোবর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিসহ চারটি দলের সমন্বয়ে নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আত্মপ্রকাশ করে।

নিরপেক্ষ নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি এবং ১১ দফা লক্ষ্যও ঘোষণা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।