গভীর রাতে সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রীদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হলেন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমান হলের বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পওয়া গেছে। একই সঙ্গে ছাত্রীদের মোবাইল ফোনও চেক করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

ধারণা করা হচ্ছে হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইসরাত জাহান এশাকে হেনস্তার অভিযোগে তাদের বের করে দেয়া হয়। গভীর রাতে ছাত্রীদের স্থানীয় অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা কান্না করতে করতে বের হন।

হলের প্রাধ্যক্ষ সাবিতা রেজওয়ানা গণমাধ্যমকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বের করে দেয়া ছাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন অন্তি (পদার্থ), রিমি (পদার্থ), শারমিন (গণিত)। এছাড়া বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি। সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে দাবি করেছেন বেশ কয়েকজন ছাত্রী। তারা বলেন, প্রাধ্যক্ষ অন্য মেয়েদের হল থেকে বের হতে দিচ্ছেন না। ফেসবুকে যেন কোনো ধরনের পোস্ট দেয়া না হয় সে ব্যাপারেও হুঁশিয়ার করছেন।

হলের সাধারণ ছাত্রীরা কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছেন। একই সঙ্গে তারা আতঙ্কের মধ্যে আছেন বলে জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, হলের প্রভোস্ট ছাত্রীদের ছাত্রত্ব বাতিল, গোয়েন্দা নজরদারি ও মামলার ভয় দেখাচ্ছেন।

জানতে চাওয়া হলে প্রভোস্ট সাবিতা রেজওয়ানা বলেন, আমরা বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে ডেকেছি। তাদের মোবাইল চেক করা হচ্ছে। তারা ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে গুজব ছড়াচ্ছে। মুচলেকা দিয়ে তাদের স্থানীয় অভিভাবকদের সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর বাবা ফারুক হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে হল থেকে একজন মহিলা ফোন দিয়ে হলে আসতে বলেছে। তখন আমি বললাম আমার বাসা ধামরাই। আমি ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে কীভাবে আসব। তখন ওই মহিলা আমাকে বলে হলে আপনাকে আসতেই হবে। আমি কিছু বলতে পারব না। কী কারণে আমাকে আসতে বলেছে। এখন আমি আসলাম দেখি করে।

এ বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, হল থেকে ছাত্রীদের কেন বের করে দেয়া হচ্ছে সেটি প্রাধ্যক্ষ ভালো বলতে পারেন। তবে দুই-তিনজনকে তাদের অভিভাবকের হাতে দেয়া হয়েছে শুনেছি। আর রাতে কেন বের করা হচ্ছে সেটি ম্যাম ভালো বলতে পারেন।

আরএম/