গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থীর নির্বাচনী নেতাকর্মী, সমর্থক ও এজেন্টদের পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে পুলিশ বা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী, তাঁর সমর্থক এবং প্রচারকারীদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের গাইডলাইন মেনে চলতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন, পুলিশের মহাপরিদর্শক, গাজীপুরের পুলিশ সুপারসহ আটজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৫ জুন) এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মাদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ নির্দেশনা দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, একেএম এহসানুর রহমান, সানজিদ সিদ্দিকী প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
একেএম এহসানুর রহমান জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার না করতে নিশ্চিত করতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গাজীপুরে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধের নির্দেশ চেয়ে আজ সোমবার হাইকোর্টে রিট করা হয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার রিটটি করেন।
রিটে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত আপিল বিভাগের নির্দেশনা ভঙ্গ করে গাজীপুরে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশনা ও রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। গাজীপুরে বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক, ভোটের প্রচারণাকারীদের গণগ্রেপ্তার, হয়রানি করা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, গাজীপুরে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটা আইনসম্মত নয় এবং সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিপন্থী। সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করে এটা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা আইন মানছেন না।
আজকের বাজার/এমএইচ