হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে আপিল বিভাগের রায়ের পর পুঃনরায় গাজীপুর সিটি নির্বাচনের তারিখ আজ রোববার ঘোষণা করার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগে প্রত্যাহার হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের অফিসে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ রোববার এ দিন নির্ধারণের কথা জানান।
নির্বাচন কমিশন নতুন তারিখ ঘোষণার পর মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণার দৌড় আবার শুরু করবেন। তবে আনুষ্ঠানিক প্রচারণার তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা ঘরোয়া পর্যায়ে থাকবে বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। আসন্ন রোজা ও ঈদুল ফিতরে ইফতার ও ঈদ শুভেচ্ছার মাধ্যমে প্রচারণা নতুন মাত্রা পাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আদালতের রায়ের আইনজীবীর সত্যায়িত কপি তাঁরা হাতে পেয়েছেন। আগামী রোববার নির্বাচন কমিশনের সভায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। তবে ভোটের জন্য নতুন করে তফসিল করার প্রয়োজন হবে না। শুধু ভোটের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
নতুন করে তফসিল লাগবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নতুন করে কোনও তফসিলের প্রয়োজন হবে না। কেবলমাত্র ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৬ মে হাইকোর্ট সিটি নির্বাচন স্থগিত ঘোষণার ৫ দিন পর আপিল বিভাগ তা বাতিল করায় প্রার্থীরা যেন আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছেন। নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার পর তারা প্রচারণায় নামার ছক তৈরি করে নির্বাচনী মাঠে নামবেন।
এদিকে প্রধান দুই দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা গতকাল শনিবার ঘরোয়া বৈঠক ও মতবিনিময় করে ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন। তারা কর্মী-সমর্থকদের নির্বাচনী মাঠের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা নেতাকর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সকালে দল মনোনীত মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সাথে তার ছয়দানার বাসায় সাক্ষাত্ করেন। এ সময় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠ আওয়ামী লীগের পক্ষে রয়েছে। তারপরও প্রত্যেক ভোটারের বাড়ি বাড়ি যেয়ে ভোট চাইতে হবে।’ পরে তিনি বেশ কিছু কেন্দ্র কমিটি পুনর্গঠন করেন।
অন্যদিকে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের সাথে সকালে তার টঙ্গীর বাসায় দেখা করেন নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় তিনি বলেন, ‘ধানের শীষের গণজোয়ার ঠেকাতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে গত ২৭ এপ্রিল ২০ দলীয় জোটের ৪৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে তিনি আবারো উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘যে কোন পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকতে হবে। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ভোট চাইতে হবে।’
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও হাসান সরকারের মিডিয়া সেলের প্রধান ডা. মাজহারুল আলম, বিএনপি নেতা মীর হালিমুজ্জামন ননী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আজকে বাজার/ এমএইচ