গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চীনে গ্রেফতার অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক

অস্ট্রেলিয়ার এক শিক্ষাবিদকে ‘গুপ্তচরবৃত্তির’ অভিযোগে চীনে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে এ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাবে এটা নিশ্চিত। মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরিজ পেনি একথা বলেন।

ইয়ং হেংজুনকে কোন অভিযোগ ছাড়াই কয়েকমাস ধরে বেইজিংয়ে বন্দি রাখা হয়েছে। তবে পেনি বলেন, এ লেখক ও শিক্ষাবিদকে ২৩ আগস্ট গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

কট্টর গণতন্ত্রপন্থী সক্রিয় কর্মী ইয়ংকে গত জানুয়ারিতে আটক করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে ফিরে যাওয়ার পরপরই তাকে বন্দি করা হয়।

দুর্বল শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে পেনি বলেন, ‘রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে ড. ইয়ংকে বন্দি রাখা হলে তাকে ছেড়ে দেয়া উচিত হবে। এক্ষেত্রে আমরা আশা করছি যে ন্যায় বিচারের মৌলিক মান এবং প্রক্রিয়াগত নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হচ্ছে।’

ইয়ংয়ের পরিণতির ব্যাপারে চীনের একেবারে নীরবতা এবং কনস্যুলারের সুযোগ-সুবিধা দিতে তাদের অস্বীকৃতি দু’দেশের সম্পর্কের অবনতির ক্ষেত্রে ক্রবর্ধমান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এটাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অনেক অবনতি ঘটেছে।

অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বেইজিংয়ের প্রভাব এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক শক্তি ক্রমেই বাড়ানোর ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পেনি বলেন, ‘সাত মাসের বেশি সময় ধরে কোন ধরনের অভিযোগ ছাড়াই ড. ইয়ংকে বেইজিংয়ে বন্দি রাখা হয়েছে।’
‘ওই সময় থেকে চীন ড. ইয়ংকে আটকের কোন ব্যাখ্যা এবং তার আইনজীবী বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার সাক্ষাতের সুযোগও দেয়নি।’

পেনি বলেন, তিনি তার চীনা প্রতিপক্ষ ওয়াং ই’র কাছে বিষয়টি পাঁচবার উত্থাপন করেও এ কোন জবাব পাননি।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান