গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চীনে বিচারের মুখোমুখি অষ্ট্রেলিয়ান লেখক

চীনে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অষ্ট্রেলিয়ার একজন লেখক বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন।
এই অভিযোগে চীনে অষ্ট্রেলিয়ার যে দুজন উচ্চপর্যায়ের লোককে আটক করা হয়েছে তিনি তার একজন।
চীন ও অষ্ট্রেলিয়ার মধ্যে মানবাধিকার, বাণিজ্য ও জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সম্পর্কের যে তিক্ততা তাদের আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার আরো তীব্র রূপ নিয়েছে।
গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে চীনা বংশোদ্ভূত ইয়াং (৫৬) দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আটক রয়েছেন। তার লেখক নাম ইয়াং হেংজান।
বৃহস্পতিবার রুদ্ধদ্বার কক্ষে তার বিচার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিচার শুরুকে কেন্দ্র করে বেইজিংয়ে আদালত প্রাঙ্গনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অষ্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মারিজে পেইনে বৃহস্পতিবার ইয়াংয়ের ক্ষেত্রে চীনের কার্যক্রম নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এবিসি রেডিওকে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগের কোন ব্যাখ্যা কিংবা প্রমাণ আমরা পাইনি।
এই বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে এবং একইসঙ্গে কনস্যুলার কর্মকর্তাদের আদালতে প্রবেশ করতে দেয়া হবে বলে তিনি আশা করেন।
কিন্তু অষ্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত গ্রাহাম ফ্লিচারকে বৃহস্পতিবার আদালত থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এটি খুবই দু:খজনক ও উদ্বেগজনক।
এদিকে ইয়াংয়ের সাথে তার কোন আইনজীবী রয়েছে কিনা কিংবা বিচার আদৌ শুরু হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
ইয়াংকে চীনে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয়। অপর অষ্ট্রেলিয়ান টিভি তারকা চেং লেই কে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে গত বছরের আগস্টে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য চীনের বিচার প্রক্রিয়ায় গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে যাদেরই বিচার করা হয়েছে তাদের প্রায় সকলকেই যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।