গুলশানে জোড়া খুনের ঘটনায় ২ জনের ফাঁসি

রাজধানীর গুলশানে হুন্দাই এলইডি কোম্পানির টেকনিশিয়ান জাকিউর রহমান জুয়েল ও তার বন্ধু সবুজকে হত্যার দায়ে কাওসার মোল্লা ও ফরহাদ গাজী নামে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।

এছাড়া মামলার অপর দুই আসামি সুরুজ মিয়া ও সুপর্ণাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দু’জনেই এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সুপর্ণা পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, জাকিউর রহমান জুয়েল হুন্দাই লিড কোম্পানিতে টেকনিশিয়ান পদে চাকরি করতেন। জুয়েলের বন্ধু সবুজের সঙ্গে সুপর্ণার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১০ সালের ২০ আগস্ট ফরহাদের বোন সুপর্ণা মোবাইলে ফোন করে উত্তরখানের ভাড়া বাসা থেকে জুয়েল ও সবুজকে ডেকে নেয়। এরপর তারা আর ফিরে আসেননি।

চারদিন খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান না পেয়ে জুয়েলের মোবাইলে ফোন করলে আসামি সুরুজ, ফরহাদ ও কাওসার ফোন রিসিভ করে একেক সময় একেক ধরনের কথা বলেন। ওই ঘটনায় নিহত জুয়েলের চাচা মোতালেব হোসেন ২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর চারজনকে আসামি করে উত্তরখান থানায় মামলা করেন।

২০১১ সালের ৩ জুন ডিবি পুলিশের এসআই হাফিজুর রহমান আসামি কাওসার মোল্লা সুরুজ, ফরহাদ ও সুপর্ণার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তুহিন মাতুব্বর নামে এক আসামি কিশোর হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আলাদা চার্জশিট দাখিল করা হয়।

এরপর ২০১২ সালের ১৮ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচারকাজ চলাকালে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

সুরুজ ও তুহিন মাতুব্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, ত্রিভুজ প্রেমের ঘটনায় ভিকটিম জুয়েল ও সবুজকে সুপর্ণার মাধ্যমে ডেকে নিয়ে ফ্রুটিকা জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ গুড়া করে খাওয়ালে তারা মাতাল হয়ে পড়েন। তখন কাওসার ও ফরহাদ প্রথমে জুয়েলকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর সবুজকে গলা কেটে হত্যা করে সুরুজ মিয়া ও তুহিন মাতুব্বর। পরে গাজীপুরের ভাদুন গ্রামের জঙ্গল থেকে তাদের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।

আরএম/