সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক গৃহবধূর গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ সুমি খাতুন (২১) কলারোয়া উপজেলার মোরারীকাটি এলাকার নয়ন হোসেনের স্ত্রী ও বাঘাডাঙ্গা এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
নিহতের মা জামিলা খাতুন বলেন, ৩ বছর আগে আমার মেয়েকে মুরারীকাটি এলাকার বাবলু ড্রাইভারের ছেলে নয়নের সঙ্গে বিয়ে দিই। বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় মেয়েকে মারধর করত জামাই। দুই বছর আগে মেয়ে জামাইকে ছেড়ে দেয়।
কিন্তু সপ্তাহ খানেক পর মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আমার বাড়িতে আসে জামাই। তাদের মাধ্যমে মীমাংসা করে মেয়েকে আবার নয়নের সঙ্গে বিয়ে দিই। তারপরও আমার মেয়েকে নির্যাতন বন্ধ হয়নি।
তিনি বলেন, মাসখানেক আগে আমি মেয়েকে আবার বাড়িতে নিয়ে আসি। ১৫ দিন আগে আবার স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে নয়ন আমার বাড়িতে এসে আবার মেয়েকে নিয়ে যায়।
ওই সময় আমি জামাইকে ২০ হাজার টাকা দিই। বুধবার রাত ৯টার দিকে জানতে পারি মেয়ের গায়ে আগুন লেগেছে। সে হাসপাতালে। ঘটনা ঘটেছে সকাল ৯টায় আর আমরা জেনেছি রাত ৯টায়। পরে শুনেছি, মেয়ের গায়ে আগুন দিয়ে হত্যা করেছে নয়ন।
স্থানীয়রা জানায়, বিয়ের পর থেকে নয়ন তার স্ত্রীকে নির্যাতন করত। গত বুধবার গায়ে আগুন লাগলে সুমিকে প্রথমে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এরপর সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে তারপর খুলনা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে সুমিকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমি মারা যায়।
কলারোয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ বলেন, অভিযুক্ত নয়ন ও তার মাকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আজকের বাজার/আরআইএস