গোলাপি বলের টেস্টে উজ্জল ভারতের পেসাররা

নিজেদের ইতিহাসে প্রথম গোলাপি বলের দিবা-রাত্রির টেস্টে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন ভারতীয় পেসাররা। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত দিবা-রাত্রির টেস্টে বাংলাদেশের পতন হওয়া ১৯টি উইকেটের সবগুলোই নিয়েছেন ভারতের তিন পেসার ইশান্ত শর্মা-উমেশ যাদব ও মোহাম্মদ সামি। ইশান্ত ৯টি, উমেশ ৮টি ও সামি ২টি উইকেট নেন।

উপমহাদেশের পিচে স্পিনারদের দাপটই সবসময় বেশি থাকে। সেখানে ভারতীয় পেসারদের এমন দুর্দান্ত পারফরমেন্স চমক জাগানিয়া। ২০১৭ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ইডেন গার্ডেন্সেই এক টেস্টে ১৭ উইকেট উইকেট শিকার করেছিলেন ভারতের পেসাররা। গতকাল সেই রেকর্ড ভেঙ্গেছেন ইশান্ত-উমেশ-সামি।

গোলাপি বলের টেস্টে ২ দিন ৪৭ মিনিট সময়ে বাংলাদেশকে ইনিংস ও ৪৬ রানে হারায় ভারত। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নেয় ভারত। ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষন বলেন, ‘ভারতীয় পেসাররা শর্ট বল করেছে। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের কৌশল ও লড়াইয়ের সক্ষমতার অভাবে কারনে হতাশ হতে হয়েছে বাংলাদেশকে।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে সহজ জয়ের পর ভারতের পেসারদের প্রশংসা করেছেন দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি বলেন, ‘তারা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তারা এখন দলগতভাবে বোলিং করছে। আগেভাগেই নিজেদের প্রস্তুত করে। নিজেদের ফিটনেস নিয়ে তারা সচেতন। এটি পরিস্কার যে, টেস্ট ক্রিকেটের জন্য আমরা বোলারদের সতেজভাবে চাই। অন্য কিছু নিয়ে তারা চিন্তা করবে না এবং খেলতে না পারলেও তারা নিজেদের সুরক্ষিত মনে করে। আমাদের রিজার্ভ বোলার রয়েছে এবং তারাও ভালো করছে। রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি আমাদের অনেক বেশি সহায়তা করে।’

ইর্য়কার বিশেষজ্ঞ জসপ্রিত বুমরাহ’র অনুপস্থিতির পরও বল হাতে দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করেছেন ইশান্ত-উমেশ-সামি। পিঠের ইনজুরির কারনে ক্রিকেট থেকে দূরে আছেন বুমরাহ। আগামী বছরের শুরুতে দলে ফেরার আশায় রয়েছে তিনি।

গেল মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ২৪ উইকেট নিয়েছিলেন সামি ও উমেশ। তিন ম্যাচের ঐ সিরিজে প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশ করেছিলো ভারত। বাংলাদেশের বিপক্ষে দিবা-রাত্রির টেস্টে মাত্র সাত ওভার বল করেছিলেন দলের দুই অভিজ্ঞ স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা। দুই স্পিনারের অবদান ছাড়াই দুই ইনিংসে ১০৬ ও ১৯৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ভারতের এক সময়ের বোলিং অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান বলেন, ‘কোন টেস্টে স্পিনাররা অবদান রাখে না, ভারতের মাটিতে এমনটা কখনও হয়নি।’ তবে ভারতীয় পেসারদের আসল পরীক্ষা হবে আগামী জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে পেস-সহায়ক পিচে। আগামী বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে ভারত। খবর:বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান