গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করে কেন তাদের চতুর্থ শ্রেণির স্কেলের সমমর্যাদা কেন দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
রোববার ৩ ডিসেম্বর এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করে।
স্থানীয় সরকার সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও অর্থ সচিবসহ ৩২ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে দফাদার ও মহলদার হিসেবে দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশের সদস্যদের পক্ষ থেকে সরকারকে একটি উকিল নোটিস পাঠানোর পর তার জবাব না পেয়ে গত ২৭ নভেম্বর হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করা হয়।
রোববারের শুনানিতে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন।
হুমায়ুন কবির পল্লব বলেন, দফাদার ও মহলদার মিলে সারা দেশে গ্রাম পুলিশের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। এদের মধ্যে দফাদারদের মাসিক বেতন ৩ হাজার ৪০০ টাকা। আর মহলদারদের বেতন ৩০০০ টাকা।
গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় এই বেতনের অর্ধেক দেয় ইউনিয়ন পরিষদ, বাকিটা যায় সরকারের কোষাগার থেকে।
বর্তমানে সরকারি কাঠামোতে যেখানে একজন শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা, সেখানে গ্রাম পুলিশরা সেই সর্বনিম্ন মজুরিও পাচ্ছে না। এটা অমানবিক এবং অন্যায্য। এ কারণেই হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করা হয়েছে এবং আদালত রুল জারি করেছেন।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৩ ডিসেম্বর ২০১৭