ঘরবন্দী ফুটবলাররা ভুগছেন মানসিক অবসাদে

করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে ফুটবলারদের মধ্যে বাড়ছে মানসিক অবসাদ, যেটা দীর্ঘমেয়াদে তাদের পারফরমেন্সে রাখতে পারে নেতিবাচক প্রভাব। বলছে খেলোয়াড়দের বৈশ্বিক একটি সংগঠন। ইউনিয়নটির দাবি, ফুটবলারদের পেশার ধরন এবং বিশ্বজুড়ে কোভিড নাইন্টিন প্রভাবের কারণে ঘরবন্দি হয়ে পড়ায় মানসিকভাবে চাপ বাড়ছে তাদের।

মাঠের খেলায় পারফরমেন্স দিয়ে দর্শকদের চাহিদা মেটান খেলোয়াড়রা। ফুটবলে টিম-কম্বিনেশনটা হতে হয় নিখুঁত। প্রফেশনাল লাইফটা যেমনই হোক, বাস্তবে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের তারকারা ব্যক্তি জীবনে বেশ একা। পরিবার থেকে দূরে ভিন্ন কোনো দেশে খেলতে আসা এই খেলোয়াড়দের বেশিরভাগই সিজন চলাকালে অবসর কাটান নিজের অ্যাপার্টমেন্টে, নিঃসঙ্গভাবে।

সেই মড়ার ওপর এবার খাড়ার ঘা হয়ে এসেছে করোনাভাইরাস। ঘরে ফিরতে পারেননি বেশিরভাগ খেলোয়াড়। বিশ্ববাসীকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে নিজেরাও আছেন ঘরবন্দি। কিন্তু একাকিত্ব ফুটবলারদের মানসিকভাবে চাপে ফেলছে বলে জানিয়েছে খেলোয়াড়দের ইউনিয়ন এফআইএফপিআরও।

এফআইএফপিআরও সাধারণ সম্পাদক জোনাস বেয়ার-হফম্যান বলেন, খেলোয়াড়দের মানসিক দিকটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন। গত এক বছর ধরেই এটা নিয়ে আমরা গবেষণা করছি। ফুটবলটা কিন্তু অনিশ্চিত একটা পেশা। করোনাভাইরাসের কারণে পরিবার থেকে দূরে ঘরবন্দি হয়ে পড়ায় তাদের মানসিক বিষন্নতা আরো বেড়েছে। বিশেষ করে তরুণদের।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে প্রতিদিনই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক কবে হবে সেটা কারোই জানা নেই। খেলা না হওয়ায় আর্থিক সংকট সামাল দিতে বেতন কেটে রাখছে ক্লাবগুলো। এমন পরিস্থিতিতে ফুটবলারদের পাশে দাঁড়াচ্ছে এফআইএফপিআরও।

এফআইএফপিআরও সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়রা স্বাভাবিকভাবেই তাদের পরিবারের কাছে ফিরতে পারছে না। এই একাকিত্ব তাদের মানসিকতার ওপর যেন দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব যেন না ফেলে আমরা সেই চেষ্টা করছি। বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের যেন পরিবারের কাছে ফিরিয়ে নেয়া যায় সে জন্য লবিং চালিয়ে যাচ্ছি।

কেবল ক্লাব ফুটবলই নয়, করোভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে গেছে ইউরো, কোপা আমেরিকা ও অলিম্পিকের মতো বৈশ্বিক ক্রীড়া ইভেন্টও। ঘরবন্দি অবস্থায় কাটছে সব অ্যাথলেটের সময়। তবে যারা পরিবারের কাছে ফিরতে পারেননি তাদের যুদ্ধটা করতে হচ্ছে নিঃষঙ্গতার সাথেও।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান