২১ তম জাতীয় লিগে টায়ার-১ এ এখন অব্দি জয় পায়নি কোন দল। প্রথম রাউন্ডে দুই ম্যাচই হয়েছে ড্র। দ্বিতীয় রাউন্ডে ঢাকা-রংপুর ম্যাচ এগোচ্ছে ড্রয়ের পথে। তবে ঘরের মাঠে রাজশাহীর বিপক্ষে জয় দেখছে খুলনা বিভাগীয় দল।
৬ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিলো খুলনা। ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন নুরুল হাসান সোহান, ৭ রান করে অধিনায়ক খান আব্দুর রাজ্জাক। দলীয় ২৩৮ রানের মাথায় শফিউল ইসলামের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১২ রান করা আব্দুর রাজ্জাক। ১ রান পরে কোন রান না করে ফরহাদ রেজার বলে আউট হন রুবেল হোসেন।
মুস্তাফিজুর রহমান ও আল আমিন হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে খুলনাকে লিড পাইয়ে দেবার কাজটি করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল। মুস্তাফিজের সঙ্গে ৪০ ও আল আমিনের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়েন তিনি। তিন অঙ্কের রান পাবার খুব কাছে ছিলেন। তবে ১০৯ তম ওভারের ৩য় বলে সানজামুলের বলে আল আমিন (১) আউট হলে সে স্বপ্ন ভাঙে সোহানের। ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। ১ম ওভারের চতুর্থ বলেই মুস্তাফিজের বলে ইমরুল কায়েসকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মিজানুর রহমান। ১ম ইনিংসেও মুস্তাফিজের বলে আউট (বোল্ড) হয়েছিলেন মিজানুর।
৮ম ওভারে আল আমিন হোসেনের বলে আউট হন ১১ রান করা রাজশাহী অধিনায়ক ফরহাদ হোসেন। ১২ তম ওভারে আল আমিন ফেরান জুনায়েদ সিদ্দিকীকেও (৫)। ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসা রাজশাহীকে উদ্ধার করতে চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
৪র্থ উইকেট জুটিতে ৮৪ রান যোগ করেন এই দুজন। ব্যর্থতার বলয়ে বন্দী থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত ৫০ পার করে রাজ্জাকের প্রথম শিকারে পরিণত হন। ৮২ বলে ৬ চারে ৫৭ রান করেন শান্ত। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রজশাহী।
রাজ্জাক একই ওভারে ফেরান ৪৪ রান করা মুশফিক ও কোন রান না করা ফরহাদ রেজাকে। শেষমেশ ৬০ ওভারে ১৭০ রান তুলতেই সবকটি উইকেট হারিয়ে বসে রাজশাহী।খুলনার হয়ে ৪ টি করে উইকেট পান আল আমিন হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক। বাকি ২ উইকেট যায় মুস্তাফিজের দখলে।
জয়ের জন্য ১২৩ রানের লক্ষ্য পায় খুলনা। তৃতীয় দিনে ৩ ওভার ব্যাটিং করে তাঁরা। তাতে এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারিয়ে করে ১৫ রান। ৪ রান করে শফিউল ইসলামের বলে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বিজয়। ৯ বলে ১১ রান করে অপরাজিত আছেন ইমরুল কায়েস। ৬ বল খেলে কোন রান না করে অপরাজিত সৌম্য সরকার।
আগামীকাল শেষ দিনে ৯ উইকেট হাতে থাকা খুলনার দরকার ১০৮ রান।