উদ্ধারের সময় কেউ ঘুমিয়ে ছিল। কেই ঘুমে ঢুলছিল। তবে শ্বাসপ্রশ্বাস চলছিল। গুহার মধ্যেই ডাক্তাররা কিছুক্ষণ পরপর তাদের নাড়ি ও শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখছিলেন।
মঙ্গলবার উদ্ধার অভিযানে গুহা থেকে সবার শেষে বের হন তিনি। খবর এএফপির।
উদ্ধারের সময় আটকে পড়া ১২ কিশোর ও তাদের কোচের অবস্থা কেমন ছিল বুধবার এভাবেই তার বর্ণনা দিয়েছেন থাই নেভি সিলের সাবেক সদস্য কমান্ডার চেইয়ানান্তা পিরানারং।
‘গুহা থেকে নির্বিঘ্নে বের করতেই কিশোরদের স্বল্পমাত্রা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুমে আচ্ছন্ন রাখা হয়। গুহায় কিশোরদের খোঁজ পাওয়ার দিন থেকেই তাদের ওই ডোজ দেয়া হচ্ছিল’, বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ১৭ দিন ধরে গুহায় থাকার ফলে তাদের ওজন গড়ে ২ কেজি করে কমে গেছে। তবে ওজন কমে গেলেও তারা সুস্থ আছে এবং তাদের মধ্যে বাড়তি কোনো মানসিক চাপের লক্ষণ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন তারা।
চেইয়ানান্তা বলেন, ঘুমের ঘোরে উদ্ধার করা হয় কিশোরদের। ঘুমন্ত অবস্থায় স্ট্রেচারে করে বাইরে আনা হয় তাদের। অন্ধকার গুহায় যাতে তারা বিচলিত না হয়ে পড়ে তাই নেয়া হয় এ ব্যবস্থা। তিনি বলেন, আমার কাজ ছিল গুহার মধ্য দিয়ে স্ট্রেচারে করে বহন করা।
আজকের বাজার/আরআইএস