ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই ফসল ঘরে তোলার পরামর্শ কৃষি মন্ত্রণালয়ের

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পানের’ প্রভাবে দেশের ৫০ টি জেলার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ঝোড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টির কারণে পরিপক্ব হয়ে ওঠা এসব ফসলের বেশির ভাগই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে বোরো ধান, গ্রীষ্মকালীন সবজি, তরমুজ, আম, কাঁঠাল ও লিচুর মতো ফলের ক্ষতির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এ কারণে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পরিপক্ব সব শস্য, ফল, সবজি মাঠ থেকে দ্রুত কেটে তা সংরক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুর ১২ টায় আবহাওয়া ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে উপকূলের ২৪টি জেলায়। এর বাইরে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর বিভাগের বড় অংশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই এসব এলাকায় ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ১২০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা হাওরে বন্যার আশঙ্কা মাথায় রেখে সব ফসল দ্রুত সময়ে কাটতে পেরেছি। এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই উপকূলসহ বেশির ভাগ এলাকার পরিপক্ব সব ফসল কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করি, ঝড়ের কারণে ফসলের ক্ষতি হবে না।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ২ কোটি ৪ লাখ চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে। এর বাইরে ৮ লাখ টন আম পেকে উঠেছে। সেগুলো অনেক স্থানে সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া লিচু, তরমুজ, কাঁঠালসহ অন্যান্য গ্রীষ্মকালীন ফল ও সবজি মিলিয়ে মাঠে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন ফসল আছে।