মিয়ানমারে সংখ্যালঘুদের প্রতি ঘৃণা-ভয়ের কারণে দেশটিতে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর ওপর গণহারে নির্যাতন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
১৫৯ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত ‘দ্য স্টেস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’স হিউম্যান রাইটস’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে এই মন্তব্য করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটি প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, সামাজিক সুবিচারের জন্যে নতুন বা পুরনো কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা নির্যাতিতদের মনে আশা সৃষ্টি করে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব সলিল শেঠী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার কয়েকটি মুসলিম-প্রধান দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ফলে নেতারা যে ঘৃণার রাজনীতি শুরু করেছেন তা আজ এক বিপদজনক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ, ২০১৭ সালের আগস্টের পর থেকে রোহিঙ্গারা আবার তাদের দেশ মিয়ানমার ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে আশ্রয় নিচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হামলায় অন্তত প্রায় ৭ হাজার রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য শিশুও।
রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসবাদীদের একটি সংগঠন মিয়ানমারের ৩০টি পুলিশ ফাঁড়ি আক্রমণ করার পর। মিয়ানমার সেনাবাহিনী শক্ত হাতে সন্ত্রাসীদের দমনের নামে একের পর এক রোহিঙ্গা গ্রামে আক্রমণ চালায়।