চট্টগ্রামে এসবিএসি ব্যাংকের ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবসায়িক সম্মেলন-২০১৯ আজ শনিবার ফ্লাই ভিউ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অন্যতম উদ্যোক্তা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মাকসুদুর রহমান এবং ব্যাংকের অন্যতম পরিচালক মোহাম্মদ আইয়ুব। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোঃ গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিকুল ইসলাম চৌধুরী ও মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী, এসইভিপি শফিউদ্দিন আহমেদ ও মোঃ কামাল উদ্দিন, হেড অব আইটি মোঃ মিজানুর রহমান, হেড অব ট্রেজারি মোহাম্মদ আসাদুল হক, সিএফও মোঃ মাসুদুর রহমান এফসিএ, হেড অব ব্যাংকিং অপারেশন আবু বায়জিদ শেখ, হেড অব ক্রেডিট আব্দুল মান্নান, হেড অব কার্ড মোহাম্মদ শফিউল আজমসহ ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীরা।

সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৮ সাল শেষে এসবিএসি ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা, যা আগের বছর তথা ২০১৭ সাল শেষে ছিল পাঁচ হাজার ১২ কোটি টাকা। আর ২০১৮ সাল শেষে ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ২৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের ডিসেম্বর শেষে ছিল চার হাজার ৩২৮ কোটি টাকা। তথ্যে আরও জানানো হয়, ২০১৮ সাল শেষে এসবিএসি ব্যাংক ২০৫ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা করেছে, যা ২০১৭ সাল শেষে ছিল ১৮২ কোটি টাকা। সে হিসেবে গতবছরে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ২৩ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোঃ গোলাম ফারুক বলেন, এসবিএসসি ব্যাংক দ্রুততম সময়ের মধ্যে সারাদেশে ৭৪টি শাখা খোলার মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মকানুন মেনে শহরে ও গ্রামে ১:১ শাখা খুলেছে। এক্ষেত্রে আমরা মুনাফাকে বড় করে দেখি নাই। তিনি আরও বলেন, এসবিএসি ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণেও ভূমিকা পালন করছে। আমাদের সঙ্গে বিশ্বের ১৮৭টি ব্যাংকের সঙ্গে করেসপন্ডিং রয়েছে। সমসাময়িক ব্যাংকগুলোর মধ্যে আমরা সর্বাধিক পরিমাণের রেমিট্যান্স আহরণ করছি। আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নতুন বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, এসবিএসি ব্যাংক আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ব্যবহার করেছে। সম্প্রতি আমরা বাংলাপে নামক একটি ডিজিটাল ওয়ালেট সার্ভিস চালু করেছি। এরমাধ্যমে জনগণকে আরও সহজে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে পারছি।