চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে ৪ আক্রান্ত

চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হার কমে ২৪ ঘণ্টায় ৪ জন সনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় এক জন মারা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, এন্টিজেন টেস্ট, ফৌজদারহাট বিআইটআইডি, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ও নগরীর চার ল্যাবে গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের ৯৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৪ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১ জন ও তিন উপজেলার ৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারী, মিরসরাই ও চন্দনাইশে একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ১৫৯ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩ হাজার ৯২৯ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৩০ জন।
করোনায় গতকাল গ্রামের একজনের মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১ হাজার ৩১৯ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭২১ জন ও গ্রামের ৫৯৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকালও সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে। এখানে ৩৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের একজন পজিটিভ পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৯১ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিতে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় সবক’টিরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ২২ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহর ও গ্রামের একজন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।
বেসরকারি অপর ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৫৭ ও এপিক হেলথ কেয়ারে ১৭ টি নমুনার একটিতেও করোনার জীবাণু পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রামের ২৪ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে সেখানেও সবগুলোরই নেগেটিভ ফলাফল মিলে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার, ল্যাব এইড ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ০ দশমিক ২৫ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৩০, এন্টিজেন টেস্টে ৯ দশমিক ০৯, চমেক ১০ দশমিক ৮৩, মা ও শিশু হাসপাতাল এবং এপিক হেলথ কেয়ার এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয়।