চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ৬, একজনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৬ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ০ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ সময় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো রিপোর্ট থেকে এ সব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর সরকারি-বেসরকারি আট ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ১ হাজার ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৬ জনের মধ্যে শহরের ৪ এবং দুই উপজেলার ২ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ৩১৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ২৬ ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৮৮ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ২ জনের মধ্যে হাটহাজারী ও ফটিকছড়িতে ১ জন করে রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় গ্রামের এক রোগি মারা যায়। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৩২৮ জন হয়েছে। এর মধ্যে ৭২৩ শহরের ও ৬০৫ জন গ্রামের।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে। এখানে হাটহাজারী ও ফটিকছড়ির ১ জন করে জীবাণুবাহক চিহ্নিত হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৪৭টি নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের একজনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৩ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। দুই ল্যাবে একজন করে পজিটিভ চিহ্নিত হন।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ২৬৭, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৫, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৩, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২টি  নমুনা পরীক্ষা হয়। চার ল্যাবে ২৮৭টি নমুনার ফল নেগেটিভ আসে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও  এন্টিজেন টেস্টে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ০ দশমিক ৪৩ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ২৮, চমেকহা’য় ১ দশমিক ৬৯, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩ দশমিক ০৩ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং চবি, শেভরনে, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।