চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত পঞ্চাশের নীচে

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আবারও পঞ্চাশের নীচে নেমেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ২ দশমিক ১১ শতাংশ। এ সময়ে কারো মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর এগারো ল্যাবে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ৪৬ জনের মধ্যে শহরের ৩২ ও নয় উপজেলার ১৪ জন। উপজেলার ১৪ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ৪ জন, সীতাকু- ও বোয়ালখালীতে ২ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া, বাঁশখালী ও আনোয়ারায় ১ জন করে রয়েছেন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৫৭ জন। এর মধ্যে শহরের ৯১ হাজার ৮৯২ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৪৬৫ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কেউ মারা যায়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে শহরের ২ ও গ্রামের একজন জীবাণুবাহকের অস্তিত্ব মিলে। সরকারি পরীক্ষাগারের মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২০ ও গ্রামের ৪ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৮৮ নমুনার মধ্যে শহরের ৩ ও গ্রামের ২টি আক্রান্ত পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় সবারই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৯টি নমুনার মধ্যে একটিতে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
বেসরকারি ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহর ও গ্রামের একজন করে সংক্রমিত মিলে। শেভরনে ২৭২টি নমুনার মধ্যে শহরের ২ ও গ্রামের ৩টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে একজন আক্রান্তও পাওয়া যায়নি। এপিক হেলথ কেয়ারে ১০৮টি নমুনায় শহরের ৪টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৭৮ জনের নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৩৬৩ জনের নমুনায় শহরের একজন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। এভারকেয়ার হসপিটালে ৪৫ জনের নমুনায় গ্রামের একজন পজিটিভ চিহ্নিত হয়।
এদিন বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, ল্যাব এইড ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। শহর ও গ্রামের কোনো কেন্দ্রে কারো এন্টিজেন টেস্ট হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ০ দশমিক ৬৬ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৮ দশমিক ৫৭, চমেকহা’য় ৫ দশমিক ৬৮, সিভাসু’তে ৩ দশমিক ৪৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ৮২, শেভরনে ১ দশমিক ৮৪, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩ দশমিক ৭০, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ০ দশমিক ২৭, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ২ দশমিক ২২ শতাংশ এবং চবি, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।