চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন ১৫৯ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। আক্রান্তের হার ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। একই সময়ে সুস্থতা লাভ করেন ৫০৭ জন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য মিলে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতকাল শুক্রবার কক্সবাজার মেডিকেল কলেজসহ দশটি ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্তদের মধ্যে শহরের ৮৬ এবং ১২ উপজেলার ৭৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজানে সর্বোচ্চ ২১, হাটহাজারীতে ১৩, লোহাগাড়ায় ১০, সাতকানিয়ায় ৭, সীতাকু-ে ৬, বোয়ালখালীতে ৫, ফটিকছড়ি ও মিরসরাইয়ে ৩ জন, আনোয়ারা ও পটিয়ায় ২ জন করে এবং বাঁশখালীতে ১ জন রয়েছেন। জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৯৯ হাজার ৯২৫ জন। এর মধ্যে শহরের ৭২ হাজার ৫৯০ ও গ্রামের ২৭ হাজার ৩৩৫ জন। গতকাল চট্টগ্রামে করোনায় শহরের ২ জন মারা যান। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ২৪১ জন। এতে শহরের ৬৯৫ ও গ্রামের ৫৪৬ জন। এদিন আরোগ্যলাভ করেন ৫০৭ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা বেড়ে ৭৩ হাজার ৬৩৪ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৯ হাজার ৮৯৭ এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৬৩ হাজার ৭৩৭ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১৮১ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৩১৫ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৬২১ জন। ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৫৩৯ জনের নমুনায় শহরের ৩৩ ও গ্রামের ২৩ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬৮টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৬ ও গ্রামের ১৭টিতে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১৬৬ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১১ ও গ্রামের ৮ জন পজিটিভ হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৫ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৮ ও গ্রামের ১৯ জন করোনা চিহ্নিত হন। নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের একটিসহ ৫টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৮টি নমুনার মধ্যে শহরের ৬টি, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০টি নমুনায় শহরের ২ ও গ্রামের ১টি, এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ৭২টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬ ও গ্রামের ৩টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। কভিড-১৯ টেস্টে গতকাল থেকে যুক্ত হওয়া ল্যাব এইডে ২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে দু’জনেরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। চট্টগ্রামের ৮টি নমুনা এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় গ্রামের ১ টিতে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, মেডিকেল সেন্টার ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে ল্যাবভিত্তিক সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডি’তে ১০ দশমিক ৩৯, সিভাসু’তে ১৯ দশমিক ৬৪, চমেকে ১১ দশমিক ৪৪, চবি’তে ২১ দশমিক ৬০, শেভরনে ১ দশমিক ২৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮ দশমিক ৮২, মা ও শিশু হাসপাতালে ৬ শতাংশ, এপিক হেলথ কেয়ারে ১২ দশমিক ৫০, কক্সবাজার মেডিকেলে ১২ দশমিক ৫০ এবং ল্যাব এইডে ০ শতাংশ। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান