চট্টগ্রামে করোনায় এক রোগির মৃত্যু

চট্টগ্রামে ১৯ দিন পর সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত এক রোগির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন ৫ জনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
চট্টগ্রামের হালনাগাদ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্ট থেকে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর দশ ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের নতুন ৫ জীবাণুবাহক শনাক্ত হন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ৪৭১ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ১৪৭ ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩২৪ জন।
গতকাল করোনায় গ্রামের একজন মারা গেছেন। চট্টগ্রাম জেলায় ১৯ দিন পর গতকাল এক রোগির মৃত্যু হলো। এর আগে সর্বশেষ ২৪ নভেম্বরও গ্রামের একজনের মৃত্যু হয়েছিল। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩৩২ জন হয়েছে। এর মধ্যে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে সবগুলোরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। পাঁচ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয় চার ল্যাবরেটরিতে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৪২ জনের মধ্যে গ্রামের একজন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৬৩ জনে শহরের ২ জন, শেভরনে ৩৮৭ জনে গ্রামের একজন এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২০৭ জনে শহরের একজন রয়েছেন।
অপর পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ২৩, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয়ে ৬, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৭৭, ল্যাব এইডে ১, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৪টি এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো চট্টগ্রামের একটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২৮ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। সাত ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে পরীক্ষিত মোট ১৪২ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। তবে এদিন একটি বেসরকারি পরীক্ষাগার এপিক হেলথ কেয়ারে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, চমেকহা’য় ২ দশমিক ৩৮, শেভরনে ০ দশমিক ২৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ৭৬ এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এছাড়া, বিআইটিআইডি, চবি, সিভাসু, আরটিআরএল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে আক্রান্তের হার ছিল ০ শতাংশ।