চট্টগ্রামে করোনায় নতুন আট জন আক্রান্ত

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ সময় কোনো করোনা রোগির মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রামের হালনাগাদ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্ট থেকে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতকাল বুধবার ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর দশ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৮ জনের মধ্যে শহরের ৫ এবং দুই উপজেলার ৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ২ ও আনোয়ারায় ১ জন রয়েছেন। এতে জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ২ হাজার ২৮৯ জনে। এর মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ৯ ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৮০ জন।
গতকাল শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৫ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০২ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৩৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজন জীবাণুবাহকও পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৮০ জনের নমুনায় শহরের ২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩৪১টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের একটিতে জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৭০ জনের নমুনার মধ্যে একজন পজিটিভ চিহ্নিত হন। জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ৫টি নমুনায় গ্রামের একটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ২২ নমুনার মধ্যে শহরের ২ জন ও গ্রামের একজনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩০, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৮, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ২২৮, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৭, ল্যাব এইডে একটি ও নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ২৮ টির এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। ছয় ল্যাবে ৩১২টি নমুনার মধ্যে সবগুলোর নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে যায়নি। নগরীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালেও করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, চমেকে ২ দশমিক ৫০, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ৩৭, শেভরনে ০ দশমিক ২৯, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৩ দশমিক ৬৩ ও আরটিআরএলে ২০ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, চবি, সিভাসু, এন্টিজেন টেস্ট, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল এবং ল্যাব এইডে ০ শতাংশ।