চট্টগ্রামে করোনায় নতুন আক্রান্ত ১৫

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন ১৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, নগরীর দশ ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১৫ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১১ জন এবং তিন উপজেলার ৪ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ৫৯৯ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৪ হাজার ২৩৭ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩৬২ জন। উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ৪ জনের মধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় ২ জন এবং ফটিকছড়ি ও আনোয়ারায় একজন করে রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শহর ও গ্রামে কেউ মৃত্যুবরণ করেননি। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩২ জনই রয়েছে। এর মধ্যে ৭২৩ জন শহরের ও ৬০৯ জন গ্রামের।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৩ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৪৯ জনের নমুনায় শহরের একজনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) পরীক্ষিত ৬ জনের নমুনায় শহরের ৩ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩২৬ টি নমুনার মধ্যে শহরের ২ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২ টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৬ জনের এন্টিজেন টেস্টে গ্রামের ২ জনকে আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ২৪, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১০৯, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ২৩ ও এশিয়ার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে চট্টগ্রামের ৫ টি নমুনায় পাঠানো হয়। পাঁচ ল্যাবে পরীক্ষিত ১৬৬ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন নির্ধারিত ১৫ ল্যাবরেটরির মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ০ দশমিক ৬৭, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ২৮, আরটিআরএলে ৫০, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ৬১, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ০ দশমিক ৮৩, এপিক হেলথ কেয়ারে ২৮ দশমিক ৫৭ এবং এন্টিজেন টেস্টে ১২ দমমিক ৫০ শতাংশ। তবে, চমেকহা, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে হার ছিল ০ শতাংশ।