চট্টগ্রামে করোনায় নতুন ২ শনাক্ত

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শহরে ও গ্রামে একজন করে আরও ২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ১০ শতাংশ। এ সময়ে জেলার কোথাও করোনায় কোনো রোগির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন অফিস থেকে জেলার হালনাগাদ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ পাঠানো সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রামের নয়টি ল্যাবে শনিবার ১ হাজার ৯০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ২ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা একজন ও হাটহাজারী উপজেলার একজন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ৪১৭ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৪ হাজার ১০১ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩১৬ জন। গতকাল করোনায় জেলায় কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩১ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭২৩ জন ও গ্রামের ৬০৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে কোনো ভাইরাসবাহক শনাক্ত হয়নি। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৩ টি নমুনার একটির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৯ টি নমুনা পরীক্ষায় একটিতে করোনার জীবাণু মিলে।
এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৩১, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৬, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬০৪, শেভরনে ৩১৭, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৩২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২৪ ও এপিক হেলথ কেয়ারে ৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চট্টগ্রামের ২ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়। আট ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ১ হাজার ২১৯ টি নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়।
এদিন বেসরকারি পরীক্ষাগার ল্যাব এইড ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে এবং কোনো বুথে এন্টিজেন টেস্টে নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, সিভাসু’তে ৭ দশমিক ৬৯ ও আরটিআরএল-এ ১১ দশমিক ১১ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, চমেকহা, চবি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, শেভরন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ।