চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ দু’টোই কমেছে

চট্টগ্রাম জেলায় করোনাকালের সর্বনি¤œ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৪ উপজেলার কোনো গ্রামে করোনায় একজনও আক্রান্ত শনাক্ত হয়নি। নগরীতে ২ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ১২ শতাংশ। তবে আক্রান্ত রোগিদের মধ্যে এ সময়ে গ্রামের ২ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে।
উল্লেখ্য, এর আগে জেলায় সর্বনি¤œ একদিনে ৩ জন সংক্রমিত ও ০ দশমিক ২০ শতাংশ আক্রান্তের হার রেকর্ড হয়েছিল।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর নয়টি ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গতকালের ২ জনসহ জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ২২৯ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৭৩ হাজার ৯৬৯ জন শহরের ও ২৮ হাজার ২৬০ জন গ্রামের বাসিন্দা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় গ্রামের ২ জনের মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩২৭ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭২৩ জন ও গ্রামের ৬০৪ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে। এখানে ৫৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনও জীবাণুবাহক পাওয়া যায়নি। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৩২ জনের নমুনায় শহরের একজন আক্রান্ত পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৪ টি নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
এছাড়া, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৩৯, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৩, এন্টিজেন টেস্টে ৪, বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৪, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩৪৭, আগ্রাবাদ মা ও শিশুহাসপাতাল ল্যাবে ২১৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ২৬ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৩০ ও মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২৫ শতাংশ এবং চমেকহা, চবি, এন্টিজেন টেস্ট, আরটিআরএল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, শেভরন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয়।