চট্টগ্রামে করোনায় ১১ রোগীর মৃত্যু

চট্টগ্রামে করোনায় ১১ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আরো ৪৩৮ জন আক্রান্ত হন। সংক্রমণের হার ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আরোগ্যলাভ করেন ৫৩২ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আরো নয় ল্যাবে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ২৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ৪৩৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৭৯ জন ও বারো উপজেলার ১৫৯ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৯৫ হাজার ৫১৬ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭০ হাজার ৫৪ জন ও গ্রামের ২৫ হাজার ৪৬২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজানে সর্বোচ্চ ৪৯, সীতাকু-ে ৩১, বোয়ালখালীতে ২৯, আনোয়ারায় ১৫, বাঁশখালীতে ১১, হাটহাজারীতে ৬, পটিয়ায় ৫, চন্দনাইশে ৪, ফটিকছড়ি ও সাতকানিয়ায় ৩ জন, মিরসরাইয়ে ২ জন এবং লোহাগাড়ায় ২ জন রয়েছেন।
গতকাল করোনায় শহরের ৪ জন ও গ্রামের ৭ জন মারা যান। মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ১৩৯ জন। এতে শহরের ৬৫৩ জন ও গ্রামের ৪৮৬ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৫৩২ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৬২ হাজার ১৯৯ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮ হাজার ৯৮১ জন এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৫৩ হাজার ২১৮ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে যুক্ত হন ২২৮ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৩৯৩ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৬৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৯৪ ও গ্রামের ৩৪ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪৩২ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৫৫ ও গ্রামের ৩২ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৮২টি নমুনায় গ্রামের ২টিসহ ১০টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩৩ জন ও গ্রামের ৫১ জনের দেহে করোনার ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ১৯৭ জনের এন্টিজেন টেস্টে নগরীর ১৪ ও গ্রামের ১৬ জনকে আক্রান্ত বলে জানানো হয়। বিশেষায়িত কভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ২১টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২টিসহ ১০টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ২১২টি নমুনা পরীক্ষা হলে গ্রামের ৪টিসহ ২৭টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৯ নমুনায় গ্রামের ৬টিসহ ২১টি, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩৩ নমুনার মধ্যে শহরের ৩টি এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ৭৯টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২৬ ও গ্রামের ৮টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এদিন চট্টগ্রামের ১৯টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় গ্রামের ৪টির রিপোর্ট পজিটিভ আসে। নগরীর বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১৯ দশমিক ১৬ শতাংশ, চমেকে ২০ দশমিক ১৪, সিভাসু’তে ৩ দশমিক ৫৪, চবি’তে ৩৩ দশমিক ৮৭, এন্টিজেন টেস্টে ১৫ দশমিক ২৩, আরটিআরএল-এ ৪৭ দশমিক ৬২, শেভরনে ১২ দশমিক ৭৩, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৫ দশমিক ৫৯, মেডিকেল সেন্টারে ৯ দশমিক ০৯, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৩ দশমিক ০৪ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।