চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে করোনায় ৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ০ দশমিক ৬২ শতাংশ।
চট্রগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও নগরীর সাতটি ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ১২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬ জন ও ফটিকছড়ি উপজেলার ১ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ৩ হাজার ৮ জন। এর মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ২২ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৮৬ জন রয়েছেন।
গতকাল করোনায় গ্রামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় এখন মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৭ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭২৩ জন ও গ্রামের ৬০৪ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে সবচেয়ে বেশি ৫৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৪ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের একজন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ১০ টি নমুনায় শহরের একটির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৪৬১ টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ২০, এন্টিজেন টেস্টে ৯, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ১১ ও ল্যাব এইডে একটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৮ টি নমুনা পাঠানো হয়। ছয় পরীক্ষা কেন্দ্রে ৮৭ নমুনার একটিতেও করোনার জীবাণু মেলেনি।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় (সিভাসু), ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৭১, চমেকে ১৬ দশমিক ৬৬, শেভরনে ০ দশমিক ২১ ও আরটিআরএল-এ ১০ শতাংশ এবং চবি, এন্টিজেন টেস্ট, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, ল্যাব এইড ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।