চট্টগ্রামে করোনায় ২ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে করোনায় দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। একই সাথে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৩০ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, চট্টগ্রামের ছয়টি এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল সোমবার এ অঞ্চলের ১ হাজার ৯৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ১০৯ এবং গ্রামের ২১ বাসিন্দার দেহে করোনারভাইরাস পাওয়া যায়। ফলে জেলায় মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ৩৬ হাজার ৬৮৬ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ২৮ হাজার ৯৪৮ জন এবং গ্রামের ৭ হাজার ৭৩৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৫ জন, পটিয়ায় ৪ জন, সীতাকুন্ডে ৩ জন, রাউজান ও মিরসরাইয়ে ২ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়া, সন্দ্বীপ, সাতকানিয়া, আনোয়ারা ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন।

গতকাল করোনায় আক্রান্ত দুই রোগী মারা যান। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩৮২ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৮১ জন ও গ্রামের ১০১ জন। এ সময়ে সুস্থ্য হয়েছেন ৬৭ জন। ফলে আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৩ হাজার ১৩১ জনে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫২১ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়েছেন ২৮ হাজার ৬১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে গেছেন ৩০ জন এবং ছাড়পত্র নেন ১৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকালও সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ১ হাজার ২৯টি নমুনা পরীক্ষায় ১১টিতে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৫৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হলে ৬১ জন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২২ জনের নমুনায় ২১ জন করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জন পজিটিভ হন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ১৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৭টিতে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।

নগরীর বেসরকারি তিনটি পরীক্ষাগারের মধ্যে শেভরনে ১৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ২১টি নমুনায় করোনার জীবাণু মেলে। চট্টগ্রামের ৩টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। তিনটিরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। তবে এদিন ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

ল্যাবভিত্তিক সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ০৭, চমেকে ১০ দশমিক ৭৪, চবি’তে ১৭ দশমিক ২১, সিভাসু’তে ১৩ দশমিক ৬৪, আরটিআরএলে ৪১ দশমিক ১৮, শেভরনে ১১ দশমিক ৮০ ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান