চট্টগ্রামে করোনায় ২ জনের মৃত্যু

টানা নয়দিন মৃত্যুশূন্য থাকার পর চট্টগ্রামে একদিনে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল ১২ জানুয়ারি এবং করোনায় চট্টগ্রামে শেষ রোগী মারা যান ১৭ ফেব্রুয়ারি। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ কমে ২৯ জনে নেমে এসেছে। সংক্রমণ হার ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। অন্যদিকে, সুস্থ হয়ে ওঠেন ৫১ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর পাঁচটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ২৯ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৭ ও দুই উপজেলার ২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সীতাকু- ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩৪ হাজার ৮৮৬ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৭ হাজার ৩৭৫ এবং গ্রামের ৭ হাজার ৫১১ জন।
গতকাল করোনায় দুই জনের মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩৭৩ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ২৭২ ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৫১ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩২ হাজার ১২১ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৪২৬ জন ও বাসা থেকে ২৭ হাজার ৬৯৫ জন। আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১০ জন। ছাড়পত্র নেন ৩০ জন। বর্তমানে আইসোলেসনে রয়েছেন ৯৪২ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২ রোগীর মৃত্যু হয় ১৩ জানুয়ারি। এদিন নতুন ১২৭ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে। হার ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এর আগে দুই জনের মৃত্যু হয়েছিল ৯ জানুয়ারি। চলতি মাসে একজন করে মারা যান ১৭ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি। এছাড়া, গত ২৬ দিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশ’র নিচে রয়েছে। গতকালসহ এ মাসে শনাক্ত বাহকের সংখ্যা পঞ্চাশের নিচে নেমেছিল তিন দিন। এর একদিন করোনাকালের সর্বনি¤েœর রেকর্ড হয়। এদিন ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। ১ ফেব্রুয়ারি মাসে আক্রান্তের সংখ্যা একবারই শতক পেরিয়ে যায়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৮১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। এরা প্রত্যেকেই নগরের বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৫৫ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১৩ জন ও গ্রামের ২ জন করোনায় আক্রান্ত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ১টি নমুনা পরীক্ষার জন্য দেয়া হলে সেটি পজিটিভ আসে।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬টি নমুনায় ৩টি এবং এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের দুই জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় দু’টিরই ফলাফল নেগেটিভ আসে। তবে, এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, চমেকে ৫ দশমিক ৮৮, আরটিআরএলে শতভাগ, কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ, ইম্পেরিয়ালে ৫০ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৩০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।