চট্টগ্রামে করোনায় ৩৬১ সংক্রমিত

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও ৩৬১ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণ হার ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ সময়ে কোভিডে আক্রান্ত কোনো রোগির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নগরীর আট ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল চট্টগ্রামের ৩ হাজার ৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ৩৬১ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৮২ জন ও ১৫ উপজেলার ৭৯ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে পটিয়ায় ১২ জন, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি ও বোয়ালখালীতে ৭ জন করে, রাউজান ও সাতকানিয়ায় ৬ জন করে, মিরসরাই, লোহাগাড়া ও সীতাকু-ে ৫ জন করে, হাটহাজারী, চন্দনাইশ ও বাঁশখালীতে ৪ জন করে, সন্দ্বীপে ৩ জন, আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলায় ২ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৬ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮৯ হাজার ৬৬০ জন ও গ্রামের ৩৩ হাজার ৩৮৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে শহর ও গ্রামের কেউ মারা যাননি। এতে জেলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫৯ জনই রয়েছে। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৫ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬৬২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ১২১ ও গ্রামের ৯ টি নমুনায় করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১১৮ জনের নমুনায় শহরের ২০ ও গ্রামের ৮ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৮৭ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৭ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৪৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩০ ও গ্রামের ২৫ জন সংক্রমিত শনাক্ত হন। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৫২ জনের নমুনা থেকে শহরের ১৯ ও গ্রামের ১১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। মেডিকেল সেন্টার হাসপতালে ২৭৪ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৩ টি আক্রান্ত চিহ্নিত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ১৫০ নমুনার মধ্যে শহরের ১৮ ও গ্রামের ১২ টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। ল্যাব এইডে ২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে দু’টিরই নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৭৬ নমুনায় শহরের ১২ ও গ্রামের ৭ টিতে জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত হয়। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ২৫৬ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৯ টি পজিটিভ হয়। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত ল্যাবে ৬৫৩ বিদেশগামীর নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৪০ জন আক্রান্ত ধরা পড়ে। এদের যাত্রা বাতিল করা হয়।
এদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ১৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ, সিভাসু’তে ২৩ দশমিক ৭৩, এন্টিজেন টেস্টে ৮ দশমিক ০৪, শেভরনে ১১ দশমিক ৯৮, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮ দশমিক ৫২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৪ দশমিক ৭৪, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ২০, ল্যাব এইডে ০ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২৫ শতাংশ, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৩ দশমিক ৫১ এবং শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ।