চট্টগ্রামে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে ২৬৭ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ১৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর আট ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ২৬৭ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৪৪ জন ও বারো উপজেলার ১২৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ রাঙ্গুনিয়ায় ২৯ জন, হাটহাজারীতে ২১ জন, রাউজানে ২০ জন, আনোয়ারায় ১৪ জন, ফটিকছড়িতে ১০ জন, বোয়ালখালীতে ৮ জন, পটিয়ায় ৭ জন, চন্দনাইশে ৬ জন, সাতকানিয়ায় ৩ জন, বাঁশখালী ও সন্দ্বীপে ২ জন করে এবং লোহাগাড়ায় একজন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫৭ হাজার ৯৯৭ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৫ হাজার ৩৫৭ জন ও গ্রামের ১২ হাজার ৬৪০ জন।
গতকাল গ্রামের ৪ করোনা রোগী মারা যান। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১ হাজার ২১৫ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৬৮২ জন ও গ্রামের ৫৩৩ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩৮ ও গ্রামের ৯ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ২৬৯ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৫৭ ও গ্রামের ১২ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৪৮ টি নমুনায় শহরের ১৬ ও গ্রামের ২৮ টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ২১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১১ ও গ্রামের ৫৬ জনের মধ্যে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৮২ জনের এন্টিজেন টেস্ট গ্রামের ১৩ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১১৪ টি নমুনা পরীক্ষা করায় গ্রামের একটিসহ ৯ টি, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৩০ টি নমুনায় গ্রামের একটিসহ ৭ টি, মেডিকেল সেন্টারে ২৫ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৮ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ টি ও গ্রামের একটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
চট্টগ্রামের ৯ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবক’টির ফলাফল নেগেটিভ আসে। এদিন নগরীর অপর বেসরকারি ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
রিপোর্ট অনুযায়ী ল্যাবভিত্তিক সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ, চমেকে ২৫ দশমিক ৬৫, সিভাসুতে ১৭ দশমিক ৭৪, চবিতে ৩০ দশমিক ৫৯, এন্টিজেন টেস্ট ১৫ দশমিক ৮৫, আরটিআরএলে ৫৫ দশমিক ৫৫, শেভরনে ৭ দশমিক ৮৯, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৩ দশমিক ৩৩, মেডিকেল সেন্টারে ১২ শতাংশ, এপিক হেলথ কেয়ারে ৭ দশমিক ৮৯ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ।