চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও হার কমেছে

চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষার সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাক্রান্তের সংখ্যা ও হার কমেছে। আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃত্যুহীন চতুর্দশ দিবস পার হলো।

দুর্গাপূজার বন্ধ থাকায় গতকাল নগরীর আটটির মধ্যে পাঁচটি এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে জানা যায়, মঙ্গলবার ৬৫৪ টি নমুনায় নতুন ৪৩ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৯ জন এবং ৩ উপজেলার ৪ জন। ফলে জেলায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে এখন ২০ হাজার ৯০৩ জন।

সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজ বাসস’কে জানান, ‘দুর্গাপূজার বন্ধ থাকলেও বড় দু’টি ল্যাব চমেক হাসপাতাল এবং বিআইটিআইডি’তে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। গতকালের পরীক্ষায় চট্টগ্রামে সংক্রমণের হার যথেষ্ট কম নির্ণিত হয়েছে। মৃত্যুহীন আরেকটি দিন পার হওয়ায় চতুর্দশ দিবস অতিক্রান্ত হলো। সর্বশেষ দু’জনের মৃত্যু হয় ১৪ অক্টোবর। মৃতের সংখ্যা ৩০১ জনই রয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩১ জন। ফলে রোগমুক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১৬ হাজার ৪৬৭ জন।’

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ৩৪৮টি নমুনা পরীক্ষা হয় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এতে ১২ টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবে (আরটিআরএল) পরীক্ষিত একমাত্র নমুনাটিতে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে।

নগরীর বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে দু’টিতে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। শেভরনে ১২০ জনের মধ্যে ৪ জন এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৩ জনে ৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রামের একটি নমুনা পাঠানো হয় কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে। পরীক্ষায় সবক’টিরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।