চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে নতুন ৩ আক্রান্ত

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে নতুন ৩ জন শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ২১ শতাংশ। তবে এসময়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রাম মহানগর ও ১৫ উপজেলায় করোনার সংক্রমণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে এসব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরীর সাত ল্যাবে গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২ জন ও লোহাগাড়া উপজেলার একজন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ৩৫০ জন। এর মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ৫০ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩০০ জন। গতকাল করোনায় জেলায় কোনো রোগি মৃত্যুবরণ করেননি। ফলে জেলায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩০ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭২৩ জন ও গ্রামের ৬০৭ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে সবচেয়ে বেশি ৫৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে করোনায় একজনও শনাক্ত হননি। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৩ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৪১০ টি নমুনার মধ্যে শহর ও গ্রামের একটি করে নমুনায় ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৮, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২০৮, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৭১, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২৫ ও এপিক হেলথ কেয়ারে ১২ টি নমুনা পরীক্ষা হয়। নগরীর এ পাঁচ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ৪২৪ নমুনার সবক’টিরই নেগেটিভ রেজাল্ট মিলে। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), এন্টিজেন টেস্ট, ল্যাব এইড ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে আরটিআরএল-এ ৩৩ দশমিক ৩৩ ও শেভরনে ০ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, চমেকহা, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।