চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত ৭৫ নমুনায়

চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুশূন্য টানা ১৬ তম দিনে নতুন বাহক শনাক্ত হয়েছে ৭৫ জন। সংক্রমণ হার ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীর সরকারি-বেসরকারি আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৭৫ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬০ জন এবং ছয় উপজেলার ১৫ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হাটহাজারীতে ৭ জন। এছাড়া, চন্দনাইশে ৩ জন, ফটিকছড়িতে ২ জন এবং রাঙ্গুনিয়া, মিরসরাই ও বাঁশখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৬৬১ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৬ হাজার ৩০৪ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৭ হাজার ৩৫৭ জন।
গতকাল মঙ্গলবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা ৩৬৯ জনই রয়েছে, এদের মধ্যে শহরের ২৬৮ জন এবং গ্রামের ১০১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩০ জন। এতে আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে এখন ৩১ হাজার ২০০ জনে উন্নীত হলো। এদের ৪ হাজার ৩০০ জন হাসপাতালে এবং ২৬ হাজার ৯০০ জন ঘরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ১০ জন ও ছাড়পত্র নেন ২০ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯৭৮ জন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৯ দিনসহ একটানা ১৬ দিন চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ একজনের মৃত্যু হয় ২৪ জানুয়ারি। এ মাসের প্রথম দিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা শতক পার (১০৮) হলেও অবশিষ্ট আট দিনে একশ’র নিচেই থেকেছে এবং করোনাকালের সর্বনি¤েœর রেকর্ডটিও এ মাসে। চট্টগ্রামে করোনার পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরুর পর সংখ্যা ও হারে ৬ ফেব্রুয়ারি ছিল সবচেয়ে কম শনাক্ত। এদিন ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে জানা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৮১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এতে ৯ জন পজিটিভ হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৮৯ টি নমুনা পরীক্ষায় ১২ টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৭২ জনের নমুনার মধ্যে পরীক্ষায় ১১ জনের সংক্রমণের প্রমাণ মেলে। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৬৭ জনের নমুনায় ১০ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
নগরীর বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৫২, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪৭ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২১ টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এতে যথাক্রমে ১৭, ১২ ও ২ টি নমুনায় ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এদিন চট্টগ্রামের ৬৬ জনের নমুনা পাঠানো হয় কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে। পরীক্ষায় ১ জনের নমুনায় ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ১০ শতাংশ, চমেকে ৬ দশমিক ৩৫, চবি’তে ১৫ দশমিক ২৮, সিভাসু’তে ১৪ দশমিক ৯২, আরটিআরএলে ৫০ শতাংশ, শেভরনে ৪ দশমিক ৮৩, ইম্পেরিয়ালে ২৫ দশমিক ৫৩, আগ্রাবাদ মা ও শিশুতে ৯ দশমিক ৫২ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ১ দশমিক ৫১ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।